Advertisement
E-Paper

বালি পাচারের অভিযোগে অবরোধ মুরারইয়ে

তবুও বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমেনি! বালি পাচার প্রতিরোধ করতে শেষে গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করে বুধবার আন্দোলনে নামলেন বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫০

গ্রাম লাগোয়া বাঁশলৈ নদী থেকে বালি মাফিয়ারা বালি তুলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে রাখছেন। সেই বালি রাত ভোর ট্রাক্টরে পাচার হয়ে যাচ্ছে রাজ্যে-পড়শি রাজ্যে! বালি পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গ্রামবাসী বারংবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবুও বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমেনি! বালি পাচার প্রতিরোধ করতে শেষে গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করে বুধবার আন্দোলনে নামলেন বাসিন্দারা। মুরারই থানার দুলান্দি গ্রামের ঘটনা।

গ্রামবাসী আলি রেজা, সিরাজুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, কৃষ্ণ মণ্ডলদের অভিযোগ, গ্রাম সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের বাঁশলৈ নদী থেকে মাস খানেকের বেশি সময় ধরে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে রাখতে শুরু করেন বালি মাফিয়ারা। এবং অবৈধ ভাবে মজুত করা বালি ট্রাক্টরে করে পাচার করছেন পাচারকারীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এলাকার বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই যে ওরা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বালি যেমন মজুত করে রাখছে তেমনি গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া পাকা রাস্তার উপর বালি মজুত করে রাখছে। এতে দুর্ঘটনা তো ঘটছেই সেই সঙ্গে এলাকাবাসী গ্রামের রাস্তায় চলাফেরা করতে পারছেন না।

এ দিন একটি বালি ভর্তি ট্রাক্টর রাস্তায় উল্টে যায়। এতে ওই রাস্তায় যান চলাচল ব্যহত হয়। বালি পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত শুক্রবার মুরারই ১ ব্লকের বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বালি পাচারের সঙ্গে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতারা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত আছেন। প্রশাসন সব জেনে শুনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। সকাল আটটা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত পথ অবরোধ চলার পরে এলাকায় মুরারই থানার পুলিশ আসে। রাস্তার উপর বালি মজুত করা যাবে না— এই আশ্বাস পাওয়ার পরে আন্দোলনকারীরা তাঁদের অবরোধ তুলে নেন। মুরারই ১ ব্লকের বিডিও তপন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘বালি পাচার নিয়ে দুলান্দি গ্রাম থেকে কোনও অভিযোগ আমি হাতে পাইনি। তবুও এলাকায় অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।’’ সেচ দফতরের ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানেলের নলহাটি বিভাগের সহকারী বাস্তুকার সুকান্ত দাস বলেন, ‘‘বালি উত্তোলন বা বালি পাচার নিয়ে মামলা রুজু করা বা জরিমানা করা নিয়ে আমার কিছু বলা যাবে না। যা দেখার জেলা প্রশাসন দেখছে। তাঁরাই যা বলার বলবেন।’’

Blockade LandSmuggling
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy