বালিঘাটের এই রাস্তা নিয়েই কোন্দল বাধে। — নিজস্ব চিত্র।
ময়ূরাক্ষী নদীর উত্তরে দেরিয়াপুর অঞ্চলের দুই বালিঘাট কর্তৃপক্ষের বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল শনিবার।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, দু’পক্ষই বোমাবাজি করে এ দিন। পুলিশ অবশ্য বোমাবাজির কথা মেনে নেয়নি। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দেরিয়াপুর এলাকার হানাবাড়ির পূর্ব ও পশ্চিমে থাকা বালি ঘাটের রাস্তা কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুটি ঘাট কর্তৃপক্ষের মধ্যে শুক্রবার বিকেল থেকে বিবাদ শুরু হয়। হানাবাড়ির পশ্চিম দিকের বালিঘাট কর্তৃপক্ষদের তরফে অমিত মাহারা দাবি করেন, ‘‘ওই ঘাট কর্তৃপক্ষ আমাদের বালি ঘাটের রাস্তার বালি কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা প্রতিবাদ করায় এ দিন বোমা-সহ বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের কার্যালয়ের আসবাব পত্র ভাঙচুর করে। কিছু সামগ্রী নিয়ে পালায়। একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন।’’
অন্যদিকে পূর্ব দিকের বালিঘাট কর্তৃপক্ষদের পক্ষে তপন দেবাংশী দাবি করেন, তাঁদেরই বালিঘাটের রাস্তার বালি অন্যায়ভাবে তুলে নিচ্ছিল পশ্চিম দিকের ঘাট কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদ করায় ওই ঘাটের লোকজন বোমা নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। মারধরও করে।’’
দেড়িয়াপুর, ময়ূরাক্ষী নদীর আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বর্ষায় এমনিতেই নদী থেকে বালি তোলা নিষেধ। কিন্তু অধিকাংশ ঘাট থেকেই বালি তোলা হয়। নদীর বালি তোলার ক্ষেত্রে কোনও ঘাট কর্তৃপক্ষই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। খেয়াল খুশি মতো নদীর যত্রতত্র বালি তুলে নেয়। এমনকী নদীবাঁধ কেটে রাস্তাও তৈরি করছে। ফলে এলাকার লোকজন আতঙ্কিত। নদীর বালি তোলাকে কেন্দ্র করে ময়ূরাক্ষী-সহ জেলার বিভিন্ন বালি ঘাটে মাঝে মধ্যেই বালি মাফিয়াদের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সাঁইথিয়ার এ দিনের ঘটনায় তার থেকে ব্যতিক্রম নয়।
যে দুটি বালিঘাটের মধ্যে এ দিন বোমাবাজি হয়েছে সেই দুটি বালিঘাটই মহম্মদবাজার সেচ দফতরের অধীনে। সেচ দফতরের এসডিও এমডি ইলাহি বক্স বলেন, ‘‘এ দিনের ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।’’ সাঁইথিয়ার ওসির দায়িত্বে থাকা সিউড়ি সদর সিআই সোমনাথ দে বলেন, ‘‘বালি ঘাটের রাস্তাকে কেন্দ্র করে দুই ঘাট কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ পরিস্থির উপর নজর রেখেছে। উভয় পক্ষের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এ ব্যাপারে কোনও পক্ষই এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy