সিউড়িতে জেলা বইমেলায় বিকিকিনি। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।
কেউ বলছেন, ‘‘কোনও প্রভাব নেই, দেদার বিকোচ্ছে বই।’’ কেউ বলছেন, ‘‘সামান্য হলেও প্রভাব পড়েছে নোট কাণ্ডের। এ বার বেচা কেনা ভাল নয়!’’
সিউড়িতে আয়োজিত ৩৫তম জেলা গ্রন্থ মেলায় এ বার হাজির হয়েছে ৭১টি সংস্থা। সাত দিনের বই মেলার মঙ্গলবার ছিল চতুর্থদিন। এ দিনই দুপুরে সিউড়ি শহরের সেচকলোনীর মাঠের চারপাশে বইস্টলগুলি ঘুরে দেখতে দেখতে এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়াই উঠে এল বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে। তবে কেউ কেউ আবার বাজার খারাপের জন্য নোটকাণ্ড নয় দুষছেন সময়টাকে। কারণ, এখন যে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে স্কুলে স্কুলে।
কলকাতার দুটি প্রকাশনা সংস্থার কর্মী রাজীব মণ্ডল, অমর সাহাদের তেমনই মত। তাঁরা বলছেন, সঙ্গে রয়েছে দু’ হাজারের টাকার ভাঙিয়ে দেওয়ার অসুবিধা। সমস্যা ১০ টাকার কয়েন চালানো নিয়েও, বলছেন একটি নামী প্রকাশনা সংস্থার কর্মী তরুণ শর্মা।
ভিন্ন অভিজ্ঞতা আবার ভ্রমণ কাহিনি নিয়ে এ বার মেলায় হাজির হওয়া একটি সংস্থার।
কর্মী রঞ্জু চক্রবর্তী বলছেন, যেখানে অন্য বইয়ের সাড়া মিলত সেখানে এ বার ভ্রমণ কাহিনির মতো বই বেচা কেনা অবাক করছে। আর নোট কাণ্ড, কোনও প্রভাব পড়েনি। ৮০০ টাকার বই কিনতেও লোকে ১০০ টাকার নোট দিচ্ছে। একই কথা বলছেন আনন্দ প্রকাশানার কর্মী অরিন্দম গুপ্ত। তিনি বলছেন, ‘‘ফেলুদা থেকে ব্যোমকেশ, শীর্ষেন্দু থেকে সুনীল— সব ধরনের বই দেদার বিক্রি হয়েছে। নোট কাণ্ডের এখনও প্রভাব এই বই মেলায় পড়েনি বলেই আমার মনে হয়েছে।’’
প্রকাশনা সংস্থাগুলির মতো বর্তমান প্রজন্মের ঝোঁক এ বার কেরিয়ার গাইডের বইয়ের প্রতি বেশি। তবে জনপ্রিয় গোয়েন্দা কাহিনি, ভূতের গল্প থেকে কার্টুন বিক্রি হচ্ছে সমান তালে। সিউড়ি একটি স্কুলে থেকে এ দিন বই মেলায় ঘুরছিল দ্বাদশ শ্রেণির তিন ছাত্রী। তাদের মধ্যে মধুলিসা দত্ত, তনুশ্রী দাসেরা জানায়, আমরা ফেলুদা কিনব। তবে কেরিয়ার গাইডের বইও দেখব। ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া ত্রিপর্ণা ঘোষ মায়ের সঙ্গে এসে মেলা থেকে একটি ভূতের বই কেনে। মেলায় আসা এক বইপ্রেমীর দাবি, একটি মাত্র প্রকাশন সংস্থা সঙ্গে এনেছে ডেবিট ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করার যন্ত্র। নোট কাণ্ডের প্রভাব পড়লে বই মেলাই চলত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy