ব্রহ্ম-মন্দির: উপাসনাগৃহের অনুষ্ঠান, শান্তিনিকেতনে শনিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
নতুন বাংলা বছরকে বরণ করতে জেলা জুড়ে নানা অনুষ্ঠান হল।
দিনভর বৈদিক মন্ত্রপাঠ, ব্রহ্ম উপাসনা, নৃত্যনাট্য, রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শনিবার বিশ্বভারতীতে পালিত হল নববর্ষ। শনিবার নতুন বাংলা বছরের প্রথম দিনে রবীন্দ্রভবন থেকে বিশ্বভারতীর ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ হয়। এ ছাড়া রবীন্দ্রভবনে ‘ঠাকুরবাড়ির কল্যাণীরা’ নামে একটি স্থায়ী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত।
রবীন্দ্রভবনের অধ্যক্ষ তপতী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বার নববর্ষে একটি নতুন স্থায়ী প্রদর্শনী হল রবীন্দ্রভবনে। ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের অবদান সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল হবেন। অনেকগুলি নতুন বই ও বইয়ের সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।’’
এ দিন সকাল ৭টায় উপাসনাগৃহে শুরু হয় বৈদিক মন্ত্রপাঠ, ব্রহ্ম উপাসনা ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান। উপাসনা শেষে প্রথা অনুযায়ী পুরনো ঘন্টাতলায় শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত, সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপিকা মৌসুমি রায় প্রমুখ। সাড়ে ১০টা নাগাদ রবীন্দ্রভবনে কবিগুরুর ব্যবহৃত চেয়ারে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। স্কটল্যান্ডের একটি প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত ‘স্কটল্যান্ড-ইন্ডিয়া কনটিনিয়াম অফ আইডিয়া’, ‘পুঁথি পরিচয় সপ্তম খণ্ড’, ‘প্রাচীন সাহিত্য’-এর ইংরেজি অনুবাদ, ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্ধশতবর্ষ’, ‘রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্ধশতবর্ষ’, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৃষ্টি ও অনুবাদ’-সহ ৮টি বইয়ের আবরণ উন্মোচন করেন উপাচার্য। সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গণে শিক্ষাসত্রের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যপিকারা ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ করেন। রাত ৯টায় সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপক মোহন সিং খাঙ্গুরার সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
নববর্ষের সকালে সিধো-কানহো মঞ্চে বর্ষবরণ-এর প্রভাতী অনুষ্ঠান হল নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সিউড়ি শাখার উদ্যোগে। সেখানে নৃত্য দিশা, অলোক নৃত্যকলা কেন্দ্র, রক্তকরবী, ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ, অন্বেষণ, বাগেশ্রী, তবলা অ্যাকাডেমি-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল অনুষ্ঠান করে। এ ছাড়াও স্থানীয় শিল্পীদের উদ্যোগে সেচ আবাসনের মাঠে নতুন বছর উপলক্ষে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়।
সাহিত্য পাঠ-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণ উৎসব হয়েছে কীর্ণাহার রবীন্দ্র স্মৃতি টাউন লাইব্রেরিতে। প্রকাশিত হয় হাতে লেখা মাসিক পত্রিকা ‘শমী’।
এ দিন পাঠাগারের সভাকক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাহিত্যকর্মী শ্যামল সাহা, অনন্ত মালাকার, সফিউর রহমান, চাঁদ রায় প্রমুখ।
গ্রন্থাগারিক রেখা সেনগুপ্ত জানান, সভার শুরুতে সদ্য প্রয়াত সাহিত্যকর্মী জীতেন দাসের স্মৃতিতে শোক প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy