নিভৃতবাস কেন্দ্রের সামনে স্থানীয়দের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
ফের ক্ষোভের কেন্দ্রে কোয়রান্টিন সেন্টার বা নিভৃতবাস কেন্দ্র। আবাসিকদের খাবারের উচ্ছিষ্ট রাস্তায় ফেলা হচ্ছে, স্নানের জল এলাকার নর্দমা দিয়ে যাচ্ছে—এমন নানা অভিযোগ তুলে মহম্মদবাজারের পটেলনগর নিভৃতবাস কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে জনা তিরিশেক মহিলা ও পুরুষ ওই নিভৃতবাস কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা ফিরে যান।
পুলিশ সূত্রের খববর, ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়া ৫৩ জনকে পটেলনগরের এই নিভৃবাস কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে গত সপ্তাহে ১৪ জনকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এখন আরও ৩৯ জন আছেন। মঙ্গলবার রাতে ক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, নিভৃতবাসের আবাসিকদের খাবার খাওয়ার পরে উচ্ছিষ্ট এক জায়গায় জড়ো করা হচ্ছে। এলাকার কুকুর সেই খাবার খেয়ে নিচ্ছে। আবাসিকদের স্নানের জল এসে এলাকার হাইড্রেনে পড়ছে। এমনকি এলাকার ভিতরের রাস্তা দিয়ে সব সময় গাড়িতে করে বাইরে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া-আসা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, নিভৃতবাসের আবাসিকদের মধ্যে কেউ করোনা-আক্রান্ত হলে এই সবের মাধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। তাই এই সমস্ত বন্ধ করতে হবে। এলাকাবাসী দাবি তোলেন, নিভৃতবাস কেন্দ্রের ভিতরে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অবশিষ্ট খাবার এলাকা থেকেবেশ কিছুটা দূরে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। সমস্ত ড্রেনে ব্লিচিং পাউডার ছেটাতে হবে। নিভৃতবাসের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। সব শুনে ওসি (মহম্মদবাজার) মহম্মদ আলি নিভৃতবাসের ভিতরে কয়েকটি ডাস্টবিন লাগানো-সহ বাকি দাবিগুলি মেনে নেন। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সেই মতো কাজের নির্দেশ দেন। বিক্ষোভকারীরাও ফিরে যান।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy