Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
MObile App

ভুল এড়াতে তথ্য সংগ্রহ অনলাইনেই

শনিবার রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার প্রশাসনিক ভবনে ৮টি ব্লকের বিএমওএইচ-সহ স্বাস্থ্য কর্মী, নার্সিং স্টাফ এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের এই অ্যাপটি পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৫:২০
Share: Save:

করোনা রিপোর্টে তথ্যগত ত্রুটি এড়াতে এ বার অ্যাপ চালু করল স্বাস্থ্য দফতর। সেই অ্যাপের মাধ্যমে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক হোক বা নিভৃতবাসে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে থাকা ব্যক্তিই হোক— লালারসের নমুনা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এ বার আর কাগজে কলমে নথিভুক্ত হবে না। যে স্বাস্থ্যকর্মী নমুনা সংগ্রহ করছেন তিনিই নিজের মোবাইলের সংশ্লিষ্ট অ্যাপ খুলে যাবতীয় তথ্য টাইপ করবেন। যাঁর লালারস নেওয়া হল তাঁর মোবাইল নম্বরটিও সংযুক্ত হবে ওই অ্যাপে। তাতে ওটিপি যাবে এবং সেই ওটিপি দিয়েই ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির ডেটা এন্ট্রি হবে। যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হবে এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা একই সঙ্গে সব তথ্য দেখতে পাবেন। মূলত নির্ভুল তথ্য ও স্বচ্ছতা রাখতেই এই প্রক্রিয়া বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।

শনিবার রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার প্রশাসনিক ভবনে ৮টি ব্লকের বিএমওএইচ-সহ স্বাস্থ্য কর্মী, নার্সিং স্টাফ এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের এই অ্যাপটি পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ দিনই ওড়িশা থেকে আসা ৯০ জন শ্রমিকের লালারস সংগ্রহ করে তার যাবতীয় তথ্য এই নতুন পদ্ধতিতেই পরীক্ষার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।

রামপুরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, ‘‘এতদিন এটাই আমরা ফর্ম পূরণ করছিলাম কাগজ কলমে। তথ্য সংগ্রহ করে হাতে লিখে ফর্ম ভরতে গিয়ে অনেক ভুলভ্রান্তি থাকছিল। এছাড়া হাতের লেখা থেকে কম্পিউটারে তথ্য নেওয়াও অসুবিধা হচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগারে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে পুরো ডেটাবেসটাকে আইসিএমআর-এর সাইটে তুলতে হচ্ছিল। তারপরে টেস্টের রিপোর্ট ওই সাইটে দেখাতে হচ্ছিল। রিপোর্টটা আমাদের কাছে আসছিল তারও পরে। এতে দেরিও হচ্ছিল।’’

স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, এতসব পদ্ধতি মেনে পুরো বিষয়টিতে দেরি হচ্ছিল ও ভুলের সম্ভাবনা থাকছিল বলেই নমুনা সংগ্রহের সঙ্গেই ডেটা এন্ট্রির ব্যাপারটাও মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। লালারসের নমুনা যে পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে সেখানেও এই অ্যাপ থাকছে। ফলে অনলাইনে একসঙ্গে সবাই দেখতে পাচ্ছেন। কোনও সংশয় থাকলে তা শুধরে নেওয়াও যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গেই। এছাড়া এতে রিপোর্ট অদলবদল হওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে না বলে ওই আধিকারিকের দাবি।

স্বাস্থ্য কর্মীদের অনেকে অবশ্য এ দিন অভিযোগ করেন, অনেকক্ষেত্রে ওটিপি পেতে দেরি হচ্ছে। ফলে অসুবিধা হচ্ছে ডেটা এন্ট্রিতে। এই প্রসঙ্গে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-(১) অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘এটুকু সমস্যা তো থাকবেই। কারণ যেখানে রিপোর্ট পেতে তিন-চার দিন, কোনও সময় পাঁচ দিন পর্যন্ত লেগে যাচ্ছিল সেক্ষেত্রে যদি ওটিপি পেতে ৫ মিনিট দেরি হয় তাতে ক্ষতি কী?”

তিনি আরও বলেন, ‘‘হাতে লেখা যে ফর্মটা ছিল সেটায় অনেক ত্রুটি ছিল। অনলাইনের মাধ্যমে নাম, ঠিকানা, কোথা থেকে আসছে, কোনও অসুবিধা আছে কিনা, কোনও নিভৃতবাসে ছিল কি না সেই সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাতে পরীক্ষাতেও সুবিধা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মী বা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের একটা ভাল পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mobile App Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE