দলত্যাগী পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল সিপিএম। মঙ্গলবার হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোনালি মহান্তি এবং হিড়বাঁধ ব্লকের বহড়ামুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান কবিতা দেশমুখের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন সিপিএম সদস্যেরা।
দু’টি ক্ষেত্রেই বর্তমানে সিপিএম এবং তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা সমান। খাতড়ার মহকুমাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, ‘‘হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে সমিতির কয়েক জন সদস্য লিখিত ভাবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করেছেন। বহড়ামুড়ির প্রধানের বিরুদ্ধেও বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হবে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ জুন দু’টি অনাস্থারই তলবি সভা ডাকা হয়েছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার একমাত্র হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত সমিতিটিই সিপিএমের দখলে এসেছিল। মোট ১৪টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছিল ৯টি। তৃণমূলের প্রার্থীরা জিতেছিলেন ৫টি আসনে। বছরখানেক আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের মোনালি মহান্তি এবং আর এক সদস্য সুচিত্রা মুদি তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে দু’ পক্ষেরই আসন সংখ্যা সমান হয়।
বহড়ামুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৮টি এবং তৃণমূল ৪টিতে জয়ী হয়েছিল। পরে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে একটি আসন তৃণমূলের দখলে চলে আসে। সম্প্রতি পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের কবিতা দেশমুখ তৃণমূলে যোগ দেন। দু’পক্ষের আসন সংখ্যা সমান হয়।
সিপিএমের হিড়বাঁধ জোনাল কমিটির সম্পাদক শেখ ইউনিস বলেন, “পঞ্চায়েত ও সমিতির বোর্ড গঠনের আড়াই বছরের মধ্যে অনাস্থা আনা যায় না। তাই হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারিনি। মোনালি মহান্তি ও কবিতা দেশমুখ আমাদের দলের প্রতীকে জিতে সদস্যপদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এতে পঞ্চায়েত আইন ভঙ্গ হয়েছে। আমরা ওই দু’জনের সদস্যপদ খারিজের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি।’’
অনাস্থা প্রসঙ্গে মোনালিদেবী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কবিতাদেবীর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “দেখা যাক, কী হয়!” তৃণমূলের হিড়বাঁধ ব্লক সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ মাঝি বলেন, ‘‘অনাস্থা ধোপে টিঁকবে না। আমরাই জিতব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy