Advertisement
০৬ মে ২০২৪

হাওড়া থেকে রূপসী বাংলা ছাড়ুক, দাবি

রূপসী বাংলা সুপার ফাস্ট ট্রেনটি প্রতিদিন সাঁতরাগাছির বদলে হাওড়া থেকে ছাড়া, পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম সপ্তাহে এক দিনের বদলে তিন দিন করা এবং ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী ট্রেনের পুরুলিয়া স্টেশনে স্টপ দেওয়ার দাবি তুললেন পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়।

দাবি: পুরুলিয়া স্টেশন ম্যানেজারের অফিসের সামনে  জেলা কংগ্রেস কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।

দাবি: পুরুলিয়া স্টেশন ম্যানেজারের অফিসের সামনে  জেলা কংগ্রেস কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৪১
Share: Save:

রূপসী বাংলা সুপার ফাস্ট ট্রেনটি প্রতিদিন সাঁতরাগাছির বদলে হাওড়া থেকে ছাড়া, পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম সপ্তাহে এক দিনের বদলে তিন দিন করা এবং ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী ট্রেনের পুরুলিয়া স্টেশনে স্টপ দেওয়ার দাবি তুললেন পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এ রকমের নানা দাবি নিয়ে পুরুলিয়া স্টেশনের বাইরে সভা করে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিপত্র তুলে দেন তিনি।

সুদীপবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন হাওড়া-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা ট্রেনটি চালু হয়েছিল। প্রথমে সেটি হাওড়া থেকে ছেড়ে পুরুলিয়া আসত। পরে আচমকা হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়া শুরু হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, এর ফলে জঙ্গলমহলের তিনটি জেলার মানুষজনের খুবই সমস্যা হচ্ছে। সাতসকালে হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেন ধরতে খুবই অসুবিধা হয়।

জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘যখন ট্রেনটি চালু হয় তখন হাওড়া-ভুবনেশ্বর ধৌলি এক্সপ্রেস আর হাওড়া-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস— এই দু’টি ট্রেন এক সঙ্গে হাওড়া থেকে ছাড়ত। খড়্গপুরে পৌঁছে দু’টি ট্রেন দু’দিকে ভাগ হয়ে যেত। ধৌলি এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে ছাড়লেও রূপসী বাংলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সাঁতরাগাছিতে। অধীর চৌধুরী যখন কেন্দ্রে রেলের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, আমি তাঁকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি উদ্যোগী হয়ে রূপসী বাংলাকে রাতে ফেরার সময়ে সাঁতরাগাছির বদলে হাওড়া পর্যন্ত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেই লোকসভা ভোট এসে যায়। এখন ফেরার সময় ঠিক থাকলেও ছাড়ার সময়ে একই সমস্যা রয়ে গিয়েছে।’’

পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম ট্রেনটিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চালু হয়েছিল। সেটি সপ্তাহে এক দিন, সোমবার ছাড়ে। কিন্তু চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেক মানুষকে দক্ষিণে ছুটতে হচ্ছে। তাই ট্রেনটিকে সপ্তাহে তিন দিন চালানোর দাবি তোলা হয়েছে। আর ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী সপ্তাহে এক দিন পুরুলিয়া স্টেশন দিয়ে ঘোরানো হয়েছে। কিন্তু ওই গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনটির জেলা শহরে কোন স্টপ দেওয়া হয়নি। আনাড়ায় দেওয়া হয়েছে। সুদীপবাবু বলেন, ‘‘আনাড়ায় স্টপ হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু জেলা সদরেও স্টপ দিতে হবে।’’ নতুন টাইম টেবিলে সপ্তাহে তিন দিন গড়বেতা-হাতিয়া ট্রেনটি সময় বদলে দেওয়া হয়েছে। সেটিও আগের মতো চালানোর দাবি তোলা হয়েছে।

কিছু ট্রেন খুবই দেরি করে চলছে বলে এ দিন অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক। রেল কর্তৃপক্ষকে এই নজর দিতে দাবি জানানো হয়। পুরুলিয়া স্টেশন ম্যানেজার সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, দাবিগুলি ডিআরএম-এর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ দিনের সভায় বক্তৃতা দেন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, এটি কংগ্রেসের দলীয় কর্মসূচি নয়। বিধায়কের উদ্যোগে পুরুলিয়ার সর্বস্তরের মানুষের দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE