মাস ছয়েকের একটি শিশু যুবতী মায়ের কোলে থেকে থেকে কেঁদে উঠছিল। পাশের এক মহিলা বলে উঠলেন— ‘‘ওর বোধহয় খিদে পেয়েছে।’’ বাচ্চার যে খিদে পেয়েছে, যুবতী মাও তা বুঝতে পেরেছেন। কিছুক্ষণ আগেই খিদে মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ভিড়ের জন্য তিনি সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না। ভিড় দেখে অসহায় মুখে এ বার তিনি বাচ্চাকে খাওয়াতে চলে গেলেন বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা দূরে এক গাছতলায়। আঁচল ফেলে সেখানেই তিনি শিশুকে দুধ খাওয়ালেন।
ঘরের বাইরে কোলের শিশুকে খাওয়ানো নিয়ে কম বেশি সব মাকেই এই এক সমস্যায় পড়তে হয়। অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা সেনেটর লারিসা ওয়াটারস পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালীন ১৪ সপ্তাহের শিশুকন্যাকে দুধ খাইয়েছিলেন। সেই ছবি ভাইরাল হয়। বিশ্বজুড়ে অনেকে তাঁর ওই ভূমিকার প্রশংসা করেন।
শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের গুরুত্ব বোঝাতে ১-৭ অগস্ট আন্তর্জাতিক ব্রেস্ট ফিডিং উইক পালন করা হয়। কী ভাবে, কত ক্ষণ সন্তানদের স্তন্যপান করাতে হয়, কোন ভঙ্গিতে শিশুকে কোলে রাখতে হয়— এ সব নিয়ে আলোচনা এবং প্রদর্শনী চলে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর, আইসিডিএস এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে পুরুলিয়া জেলার সমস্ত ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং নির্দিষ্ট কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মায়েদের উপস্থিতিতে ব্রেস্ট ফিডিং নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ দিনে জেলার অধিকাংশ বাসস্ট্যান্ডে একটি করে অস্থায়ী ফিডিং কর্নার তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, পরের দিন থেকে সেই ফিডিং কর্নার তুলে দেওয়া হয়।