রবিবার তারাপীঠ থানায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
ঘটনার দশ দিন পরেও তারাপীঠ থানা এলাকার নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার কিনারা হয়নি।
ঠিক কী কারণে বালিকাটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে সেই বিষয়েও এখনও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং বালিকা খুনের ঘটনার রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটনের দাবিতে রবিবার তারাপীঠ থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালন করল বাম ও জোটপন্থী মহিলারা। উল্লেখ্য ৩ জুন সকালে তারাপীঠ এলাকার ওই নির্যাতিতা বালিকার মৃতদেহ গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরের মাঠে খড়ের ছাউনির ভিতর উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বহরমপুর থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কুকুর এনেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি দেখে এলাকার মানুষের দাবিতে ঘটনার তদন্ত সিআইডি হেফাজতে করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৩ জুন গভীর রাতে সিআইডি-র চার সদস্যের একটি তদন্তকারী দল এলাকায় পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পরের দিন দুপুরে সিআইডি-র এসপি চিরন্তন নাগের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়। ঘটনার পাঁচ দিন পরে এলাকায় ফের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ তদন্ত শুরু করেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত শুরু করতেই বালিকাটির বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে থাকা জেঠুর বাড়ির দাওয়াতে রক্তের দাগ মেলে। সেই দাগ ঘিরে তদন্ত নতুন মোড় নেয়। ইতিমধ্যে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের নেতৃত্বে জেলা অবজার্ভার নির্মল কর্মকার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকার তারাপীঠের ওই গ্রামে এসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। নির্যাতিতার মা ওই দিনই বিজেপি-র প্রতিনিধি দলের কাছে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। বিজেপি নেতৃত্ব সে ব্যাপারে তাঁকে আশ্বাস দেন।
এ দিকে ঘটনার পরেই এলাকা গিয়েছিলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিআইডি তদন্তের উপর গুরুত্ব দেন। আবার এলাকা তথা হাঁসনের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রসিদও এলাকায় গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রকৃত সাজার দাবি জানিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। রবিবার বিকেল চারটের সময় তারাপীঠ থানা ঘেরাও কর্মসূচীর ডাক দেন বাম এবং জোটপন্থী মহিলারা। এ দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় সেই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন নানুরের সিপিএম বিধায়ক তথা সারা ভারত মহিলা সংগঠনের বীরভূম জেলা সম্পাদক শ্যামলী প্রধান। ছিলেন বালিকাটির মা, জেলা নেতৃত্ব।
পুলিশ স্মারকলিপি পাওয়ার পরে জানায়, ঘটনার তদন্ত সিআইডি করছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy