দুবরাজপুরের আরও ১১ জনের রক্তে মিলল ডেঙ্গির জীবাণু। শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২০।
সিউড়ি জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গি নির্ণায়ক ম্যাক অ্যালাইজা টেস্টের পর পরিসংখ্যান দেখে মাথায় হাত জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। দুশ্চিন্তার কারণ দুবরাজপুর শহরের সেই ৭ নম্বর ওয়ার্ড-ই। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২৪ জনের রক্তে মিলেছে ডেঙ্গির জীবাণু। তার মধ্যে দুবরাজপুরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যদি ২০জন আক্রান্ত হন তাহলে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’’
জেলাস্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ডেঙ্গির এমন পরিসংখ্যান জানার পরে সিএমওএইচ বুধবার ফের দুবরাজপুর পুরসভায় বৈঠক করেন। কী করলে ঠেকানো যাবে রোগ তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। সিএমওএইচ বলেন, ‘‘আজ বৃহস্পতিবার ফের স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি দল আসছে, থাকবেন এনথ্রপলিজিস্টরা। দুবরাজপুর পুরসভায় ফের বৈঠক হবে। ডেঙ্গি আটকানোর সম্ভাব্য সবদিকগুলি নিয়েই আলোচনা হবে।’’
ওই ওয়ার্ডে ক্রমাগত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে দিশেহারা অবস্থা। গত বুধবার ওই ওয়ার্ডের এক নবম শ্রেণি ছাত্রীর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল প্রথমে। তার পরে থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প, মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে রাসায়নিক স্প্রে, কামান দাগা এবং জনসচতনতা প্রচার কিছুই বাদ দেয়নি স্বাস্থ্য দফতর। সঙ্গী ছিল দুবরাজপুর পুরসভাও। কিন্তু তাতেও থামানো যাচ্ছে না আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি।
চিকিৎসক ও পুরকর্তৃপক্ষ বলছেন, নিজের বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা। বাড়িতে বা আশপাশে জল জমতে না দেওয়া। মশারি টাঙিয়ে শোওয়া, বেশি জল খাওয়া এবং জ্বর হলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়া এমন কয়েকটি কথা মনে রাখলেই ডেঙ্গি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। কিন্ত অভিজ্ঞতা বলছে, রোগ সম্পর্কে জন সচতনতা এলেও তা প্রযোজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।
সিএমওএইচ বলছেন, ‘‘আরও অনেক বেশি উদ্যোম প্রয়োজন সচেতনতা প্রচারে। প্রতিটি বাড়িতে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে। পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে আমাদের লোকজন থাকবে। ভিন্ন মাত্রা নিয়ে প্রচারের কথা ভাবা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy