— নিজস্ব চিত্র।
প্রবল দহনে জ্বলছে পুরুলিয়া। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পানীয় জলের অভাব। জলের সমস্যা সমাধানের দাবিতে কোথাও অবরোধ, কোথাও সরাসরি প্রশাসনিক আধিকারিকের দরজায় বাসিন্দারা। হুড়া ব্লকের ধবনি গ্রামের রুইদাসপাড়ার বাসিন্দারাও সোমবার দ্বারস্থ হন বিডিও-র। এ দিন হাঁড়ি-কলসি নিয়ে গ্রামবাসীরা ব্লক অফিসে এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানান। পশুপতি রুইদাস, জলধর রুইদাস, শশধর রুইদাস, সন্ধ্যা রুইদাসরা জানান, এত দিন তাঁরা স্থানীয় বিদ্যালয়ের নলকূপ থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতেন। কিন্তু গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁদের পানীয় জল সংগ্রহ করতে প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তীব্র রোদ মাথায় নিয়ে গ্রামের অন্য প্রান্তে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে তাঁদের পানীয় জল আনতে যেতে হচ্ছে। বিডিও-র কাছে সমস্যার কথা জানাতে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিডিও সদরে বৈঠকে চলে যাওয়ায় তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ মাহাতোর সঙ্গে দেখা করেন। সুভাষবাবু পরে বলেন, ‘‘কী ভাবে ওই এলাকায় দ্রুত একটি নলকূপ খনন করানো যায় তা দেখা হচ্ছে।’’
এ দিনই পুরুলিয়া ১ ব্লকের চাকলতোড় পঞ্চায়েতের গোঁসাইডি গ্রামের বাসিন্দারা বেলা সাড়ে নটা থেকে পুরুলিয়া-বরাবাজার সড়ক অবরোধ করেন পানীয় জলের দাবিতে। অবরোধকারীদের দাবি, গ্রামে দু’টি নলকূপ রয়েছে। একটি গ্রামের ভিতরে। অন্যটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। কিন্তু স্কুলের সামনের নলকূপটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে অনেক দিন। সাড়ে দশটা নাগাদ টামনা ফাঁড়ির পুলিশকর্মীদের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। চাকলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পূর্ণিমা গোপ জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের পানীয় জলের সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয়, তা পঞ্চায়েত দেখবে। পাশাপাশি ওই এলাকায় আরও একটি নতুন নলকূপ খননের ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy