Advertisement
২৫ মার্চ ২০২৩

রাস্তা দখলমুক্ত করতে সহমত

এতদিন মানবাজার থানার দোলাডাঙার পরিচিতি ছিল শুধুই বনভোজনের চত্বর হিসেবে। মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতি পরিকাঠামোর মান বাড়াতে উদ্যোগী হওয়ায় হালে সেটি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৯
Share: Save:

এতদিন মানবাজার থানার দোলাডাঙার পরিচিতি ছিল শুধুই বনভোজনের চত্বর হিসেবে। মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতি পরিকাঠামোর মান বাড়াতে উদ্যোগী হওয়ায় হালে সেটি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে। কিন্তু মন ভোলানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে পর্যটকেরা ফিরে ফিরে এলেও রাস্তা নিয়ে তাঁদের অভিযোগ লেগেই ছিল। সম্প্রতি মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির ডাকা বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলি রাস্তা দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্তে প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

মানবাজার সদর থেকে দোলাডাঙা পর্যটন কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার। সম্প্রতি পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বনের ভিতরে দু’টি অ্যাটাচড-বাথ ডর্মিটরি তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। জলবিহারের জন্য প্যাডেল বোট এবং জঙ্গল পথে বেড়ানোর জন্য গরুর গাড়িও রাখা হয়েছে। দেশি বিদেশি ফুলের কেয়ারি করা বাগান, মাছ ধরার সরঞ্জাম আছে। ফরমায়েশ করলেই হাজির হয় গরমাগরম মুরগির মাংস আর ভাত।

মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মাহাতো বলেন, ‘‘এই সমস্ত বন্দোবস্তের ফলে দোলাডাঙায় পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে । তবে প্রায় সব পর্যটকই রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করেন।’’ তিনি জানান, দোলডাঙায় আসার ওই ১৮ কিলোমিটারের কিছুটা বাঁকুড়ার মধ্যে পড়ে। শুধু অংশটুকু আর পুরুলিয়ার ভাগের কিছুটা পাকা। সেই টুকুও আবার খানাখন্দে ভর্তি। কবিতাদেবী বলেন, ‘‘আমরা জানি পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে হলে রাস্তা ভাল করতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে রাস্তা নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব ছিল না। তাই জেলা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। দু’টি পর্যায়ে ৪৫ লক্ষ করে মোট ৯০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে।’’

বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস জানান, টাকা বরাদ্দ হলেও মানবাজারের চৌমাথা থেকে ঝরকাবাড়ির মাঠ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা খুবই সংকীর্ণ। জেলা পরিষদের নথি অনুযায়ী ওই রাস্তা ২৬.৭ ফুট চওড়া থাকার কথা। কিন্তু অনেক দোকান বা বাড়ির বারান্দা চলে এসেছে রাস্তা পর্যন্ত। এর ফলে নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষে কাজ করায় অসুবিধা হচ্ছিল। বিডিও-র দাবি, সম্প্রতি ব্লক অফিসে একটি বৈঠকে পঞ্চায়েত ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সবাই রাস্তার দখলি অংশ মুক্ত করার পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের কর্মীরা রাস্তার মাপ চিহ্নিত করে দাগ দেবেন বলে তিনি জানান।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.