এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক।— নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়াল সিউড়িতে। দিন কয়েক আগে একটি ওয়েবসাইটে (http://www.jobsexpert.org) খাদ্য দফতর সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করবে, এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে জানানো হয়, খাদ্য দফতরে ১০০০ সিভিক ভলান্টিয়ার চাই। বেতন ১০ হাজার টাকা। চুক্তিভিত্তিক পদ। ইচ্ছুকেরা ৩০ নভেম্বেরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে আবেদন জমা করতে পারবেন। সেই বিজ্ঞাপনেই ছিল খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।
মন্ত্রী অবশ্য এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি কিংবা নির্দেশের কথা মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে পুলিশ। খাদ্য দফতরের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে, খাদ্য দফতরের নাম করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের একটা অভিযোগ পেয়েছি। কারা এমন করল, তা জানতে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’’
মঙ্গলবারই জনা পঞ্চাশেক আবেদনকারী ফর্ম পূরণ করে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বিজ্ঞপ্তির কথা জানা নেই বলে পুলিশ তখন ফিরিয়ে দেয় তাঁদের। বুধবার জনা পঁচিশেক যুবক ফের ফর্ম জমা দিতে এলে জেলা পুলিশের টনক নড়ে। পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার অবশ্য মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের কোনও তথ্য বা নির্দেশিকার কথা জানা নেই তাঁর।
সিউড়ি এসপি অফিসের সামনে আবেদনকারীরা।
এ দিকে, গত ক’দিনে জেলার নানা স্টল থেকে দেদার বিক্রি হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারের আবেদন পত্র। দুবরাজপুরের স্টল মালিক দেবাশিস দত্ত নিজেই বিক্রি করেছেন সত্তরটির মতো ফর্ম। অনেকেই জানাচ্ছেন, চাকরির এই বাজারে ফর্মের বিপুল চাহিদা ছিল। এ দিন রাজগ্রাম থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের আবেদন জমা দিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসেছিলেন শেখ ইকবাল, কৌশিক দত্ত, সুমিত সোমেরা। তাঁরা জানালেন ওই ওয়েবসাইট দেখেই আবেদন পত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের কথায়, ‘‘কী বিড়ম্বনা বলুন তো! টাকা-পয়সা খরচ করে এখানে এসে নাকাল হতে হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy