বাঁকুড়ার তিলাবেদিয়ায়। নিজস্ব চিত্র
আশ্বিনের গোড়ায় ভাল বৃষ্টি হওয়ায় হাসি ফুটেছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার চাষিদের মুখে।কৃষি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই সময়ে ধানের মুকুল আসে। তার জন্য ভারী বৃষ্টির দরকার হয়। গত এক সপ্তাহে দু’জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ভালই। সোমবার দুই জেলার আকাশ ছিল মেঘলা। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু কিছু এলাকায় অল্প বৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে নিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিতে উপকারই হবে বলে জানাচ্ছেন কৃষি দফতরের কর্তারা।জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ায় উঁচু বা বাইদ জমি শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ। জেলা কৃষি দফতরের সহ অধিকর্তা (তথ্য) সুশান্ত দত্ত জানান, খরিফ মরসুমের এই সময় ধানের কাঠি গোল হতে শুরু করে। মুকুলও দেখা দেয়। চাষিরা একে বলেন ‘থোড়’ আসা। সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘বাইদ জমিতে এই সময়ে বৃষ্টির খুবই দরকার ছিল। সে অভাব মিটেছে।’’
বাঁকুড়া জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ‘‘ভাল বৃষ্টি হওয়ায় এ বার প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতেই ধান চাষ করা গিয়েছে। নতুন করে নিম্নচাপের পূর্বাভাস থাকলেও বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রিত হলে সমস্যা হবে না।’’ পুরুলিয়ায় যত জমিতে আমন ধানের চাষ হয়, এ বার তার থেকে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরুলিয়ার ঝালদার খাটজুড়ি গ্রামের চাষি দুর্যোধন মাহাতো বলেন, ‘‘বেশ কয়েক ৃদিন ধরেই কড়া রোদে মাটি শুকিয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টিটা খুবই সহায়ক হয়েছে।’’ বাঁকুড়ার শালতোড়ার চাষি অমরেশ পাত্র ও ছাতনার সুধাময় কুণ্ডু বলেন, ‘‘অসেচ এলাকা হওয়ায় আমরা বৃষ্টির উপরেই নির্ভরশীল। গত বছর বৃষ্টির অভাবে চাষ করতে পারিনি। এ বার পরিস্থিতি পুরো উল্টো। তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি খুব বেশি হলে সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy