মহড়া: দমকল কর্মীদের তৎপরতা। রবিবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে দু’দিনের উৎসব হল সিউড়ির দমকল কেন্দ্রে। তাতে রইল নানা সচেতনতা মূলক বার্তা। চলল ‘লাইভ ডেমো’ও।
এক সময়ে শহরের মূল আকর্ষণ ছিল দমকলের বিশ্বকর্মা পুজো। সেচ, আবাসন সংলগ্ন দফতরের মাঠে জমজমাট সেই পুজো দেখতে ভিড় জমে যেত। পুজোর মণ্ডপ তৈরি হত কর্মীদের হাতেই। বাইরের শিল্পীদের রাতভোর অনুষ্ঠানের স্মৃতি আজও সদর শহরবাসীর কাছে টাটকা। বেশ কিছু দিনের ভাটার পরে আবার শুরু নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে সেই পুজো।
স্থানীয়েরা জানালেন, পশ্চিম লালকুঠি পাড়ার গির্জা সংলগ্ন নতুন ঠিকানায় দফতর আসার পরেই আবার উৎসাহে জোয়ার এসেছে। দফতর ঘেঁষা রাস্তা সংলগ্ন মাঠে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। রবিবার আর সোমবার, দু’দিন ধরে চলছে নানা অনুষ্ঠান। মূল মণ্ডপে প্রতিমা। তার পাশে একটা বাড়ির মডেল। সেখানে সন্ধ্যায় দমকল কর্মীরা হাতেকলমে দেখাচ্ছেন আগুন লাগলে কী করে আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করে আনা হয়। দমকলের ভাষায় যা ‘লাইভ ডেমো’। ঘর ভরে যাচ্ছে ধোঁয়ায়, বেজে উঠছে ফায়ার আর্লাম। সিড়ি বেয়ে তরতর করে উঠে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। আটকে পড়া মানুষকে বিশেষ কায়দায় উদ্ধার করে নামিয়ে আনছেন দ্রুততার সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্ট্রেচারে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ জায়গায়।
এ সব দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। চলছে দেদার ছবি তোলাও। তাঁতিপাড়ার চার শিল্পী মানব পুতুল সেজেছেন। আগুন লাগলে কী করবেন, তার সম্পর্কে লিফলেট বিলি করছেন কর্মীরা। বিভাগীয় দমকল আধিকারিক নিতাই চট্টোপাধ্যায় জানান, বিশ্বকর্মা পুজোর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শারদ উৎসবের সময় আগুনজনিত দুর্ঘটনা থেকে জনগণকে সচেতন করাই মূল উদ্দেশ্য। পুজোর ঠিক আগেই, আগামী ২৪ অথবা ২৫ সেপ্টেম্বর সিউড়ি, বোলপুর ও রামপুরহাট— এই তিন শহরে অগ্নি সচেতনতার পদযাত্রার কথাও জানিয়েছেন তিনি। সেই পদযাত্রায় থাকবে সচেতনতা মূলক ফেস্টুন, ব্যানার, লিফলেট। দমকল কর্মীদের স্ত্রী সোমা চক্রবর্তী, বেবী মণ্ডল, লীলাবতী রায়, মিতালি কবিরাজরাও এই পুজোয় যোগ দেন। দুর্গাপুজোর আগে যা বাড়তি পাওনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy