Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোদে মানববন্ধন, অসুস্থ চার ছাত্রী

রাজ্য সরকারের ‘নির্মল বাংলা দিবসে’র মানব বন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বাঁকুড়ায় অসুস্থ হল চার ছাত্রী। তাদের সকলকেই বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসা করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থদের মধ্যে মৌ কিত ও মৌ দাস কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং সোনাম গুপ্তা লোকপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ ছাড়া অসুস্থ অতিদি পাঠক শিট বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

নির্মল বাংলা দিবসের সূচনা সিউড়িতে। (ডান দিকে) ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যখন মানব বন্ধন পালন করছেন তখন  রাস্তার উল্টোদিকে জঞ্জালের স্তূপ। রামপুরহাট মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে। —নিজস্ব চিত্র।

নির্মল বাংলা দিবসের সূচনা সিউড়িতে। (ডান দিকে) ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যখন মানব বন্ধন পালন করছেন তখন রাস্তার উল্টোদিকে জঞ্জালের স্তূপ। রামপুরহাট মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৫ ০২:১৯
Share: Save:

রাজ্য সরকারের ‘নির্মল বাংলা দিবসে’র মানব বন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বাঁকুড়ায় অসুস্থ হল চার ছাত্রী। তাদের সকলকেই বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসা করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থদের মধ্যে মৌ কিত ও মৌ দাস কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং সোনাম গুপ্তা লোকপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ ছাড়া অসুস্থ অতিদি পাঠক শিট বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। এ দিন দুপুরে মানব বন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিল এলাকার পড়ুয়ারা। হঠাৎই সেই অনুষ্ঠানে মাথা ঘুরে পড়ে যায় ওই চারজন। তা নিয়ে হইচই পড়ে যা। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাময়িক ভর্তি করে স্যালাইন দেওয়া হয়। হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “চারজনেই এখন সুস্থ। স্যালাইন দিয়ে ওআরএস খাইয়ে ওদের সুস্থ করা হয়।” তিনি না জানালেও চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত গরমে টানা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এবিটিএ। দলের বাঁকুড়া মহকুমা শাখার সম্পাদক আশিস পাণ্ডে বলেন, “যখনই শুনেছিলাম চড়া রোদে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় দাঁড় করানো হবে তখনই আপত্তি জানিয়েছিলাম। জেলা স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) কাছে আমরা পড়ুয়াদের শারীরিক দিকটির কথা ভাবতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের কথায় কান দেয়নি প্রশাসন।” বিজেপি সাজ্য সহ সভাপতি সুভাষ সরকারের কটাক্ষ, ‘‘নির্মল বাংলা প্রকল্পের নামে আদপে রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে। তাতে ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করে নক্কারজনক কাজ করেছে।’’ তবে জেলা তৃণমূল শিক্ষা সেলের সভাপতি গৌতম দাস অবশ্য বলছেন, “এটা একটা সচেতনতা মূলক প্রকল্পের প্রচার। তাই ছাত্রছাত্রীদের যোগ দিতে বলেছিল রাজ্য সরকার।” কেন চড়া রোদে ছাত্রছাত্রীদের খোলা আকাশের নীচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হল? মুখ খুলতে চাননি জেলাপ্রশাসনের কোনও আধিকারিক। তবে পরিচয় গোপন রেখে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “রাজ্যের নির্দেশেই আমরা পড়ুয়াদের মানব বন্ধন কর্ম সূচিতে যোগ দিতে বলেছিলাম। কিন্তু এই চড়া রোদের মধ্যে মানব বন্ধনের জন্য ছোট ছেলেমেয়েদের না দাঁড় করিয়ে রাখলেই ভাল হতো। বড় বিপর্যয় হয়নি এটাই বাঁচোয়া।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE