নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পুরসভা পরিচালিত হচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠল রামপুরহাটে। পুরসভার বেনিয়মের প্রতিবাদ করে বিরোধী ৮ কাউন্সিলর রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস— এই তিনটি রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলররা বুধবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
১৮ আসনের রামপুরহাট পৌরসভায় তৃণমূল একক ভাবে ১০ টি আসন পেয়েছে। বিরোধী দল নেতা বিজেপির শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘পুর আইন অনুযায়ী পুরসভায় এগজিকিউটিভ অফিসার নিযুক্ত থাকলে সেখানে চেক ইস্যু করার ক্ষমতা চেয়ারম্যান বা ভাইসম্যান চেয়ারম্যান ছাড়া অন্য কেউ পাবে না। রামপুরহাট এগজিকিউটিভ অফিসার নিযুক্ত আছেন অথচ এগজিকিউটিভ অফিসারকে বাদ দিয়ে এমন কি চেক ইস্যু করার ক্ষমতা পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান দুজনকে বাদ দিয়ে দলতন্ত্র কায়েম করার জন্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুপর্ণা সাহাকে দেওয়া হয়েছে।’’
পুর আইন যে মানা হয়নি, তা স্বীকার করে পুরপ্রধান তৃণমূলের অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, ‘‘পুর আইন মানা হয়নি, এ কথা ঠিক। কিন্তু দলের সংখ্যাগরিষ্ট কাউন্সিলর থাকার জন্য বোর্ড অফ কাউন্সিলরদের মিটিংয়ে চেক ইস্যু করার ক্ষমতা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে দেওয়া হয়েছে।’’ রামপুরহাট পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দায়িত্ব না দিলে আমার কি করার আছে বলুন। এ ব্যপারে আমার কিছু বলার নেই।’’
বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলর জালালউদ্দিন সেখ, সিপিএমের সঞ্জীব মল্লিক, বিজেপি-র পারমিতা চক্রবর্তীদের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল তাদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য বিরোধী কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ওয়ার্ডের সার্টিফিকেট বিলি করার ক্ষমতা খর্ব করে দিয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলররা উন্নয়নমূলক কাজে অসম ভাবে অর্থ বন্টন থেকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য তারপোলিন বন্টনেও অসম ভাবে বন্টন করেছে যেটা পুরসভার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখন থেকেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।’’ রামপুরহাটের মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘‘রামপুরহাট পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলরদের দেওয়া স্মারকলিপি বিষয়গুলির আইন গত দিক দিয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy