Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
BJP

‘শৌচালয় হয়নি, প্রায় দু’লক্ষ খরচ’

বিজেপির দাবি, গৌরাঙ্গডি পঞ্চায়েতে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ ও ‘নির্মল বাংলা মিশন’— দুই প্রকল্পে শৌচালয় তৈরিতে দুর্নীতি হচ্ছে বলে খবর পেয়ে তাঁরা দলগত ভাবে সমীক্ষা করে ওই তথ্য হাতে পেয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাশীপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৫:১৫
Share: Save:

নথিতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে বলে দাবি করে ঠিকা সংস্থা টাকা নিলেও, বাস্তবে তা তৈরি করাই হয়নি বলে দাবি করলেন পুরুলিয়ার কাশীপুরের এক বিজেপি নেতা। কাশীপুরের বিজেপির একটি মণ্ডলের সম্পাদক কৃষ্ণ হালদার প্রশাসনের কাছে সম্প্রতি অভিযোগপত্র জমা দিয়ে দাবি করেছেন, এক বা দু’জন নয়, তৃণমূল পরিচালিত গৌরাঙ্গডি পঞ্চায়েতের অন্তত ১৭ জনের শৌচালয় তৈরি করা নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। যদিও শৌচালয় তৈরিতে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সনকা বাউরি।

বিজেপির দাবি, গৌরাঙ্গডি পঞ্চায়েতে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ ও ‘নির্মল বাংলা মিশন’— দুই প্রকল্পে শৌচালয় তৈরিতে দুর্নীতি হচ্ছে বলে খবর পেয়ে তাঁরা দলগত ভাবে সমীক্ষা করে ওই তথ্য হাতে পেয়েছেন।

কৃষ্ণবাবুর দাবি, ‘‘তালাজুড়ি গ্রামের কর্মকার পাড়ায় ১৭ জন উপভোক্তার বাড়িতে শৌচালয় তৈরি হয়েছে বলে পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সমীক্ষা চালাতে গিয়ে দেখি, তাঁদের বাড়িতেই শৌচালয় তৈরিই হয়নি!” ওই ১৭ জন উপভোক্তার নামের তালিকা তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন।

তালাজুড়ি গ্রামের কর্মকার পাড়ার যে ১৭ জন বাসিন্দার নামের তালিকা বিজেপি প্রশাসনকে দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে মদন কর্মকার, ফটিক কর্মকারেরা অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে শৌচালয় তৈরি হবে বলে জানতে পেরে কয়েকবার পঞ্চায়েত খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিবারই পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয়, আমাদের বাড়িতে নাকি শৌচালয় তৈরি হয়েছে! অথচ, বাস্তবে তা হয়নি।’’

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েকজন শৌচালয় তৈরির জন্য আগের নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্চায়েতে ৯০০ টাকা করে জমা দিয়েছিলেন। তার পরেও হয়নি।

কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, ‘‘বর্তমানে একটি শৌচালয় তৈরির জন্য বরাদ্দ আছে ১০ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে ১৭টি শৌচালয় না করে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। শৌচালয়ের দুর্নীতিতে জড়িত আছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। প্রশাসন তদন্ত করলেই সব তথ্য সামনে আসবে।”

গৌরাঙ্গডি পঞ্চায়েতের প্রধান দাবি করেন, ‘‘তালাজুড়ির কর্মকারপাড়ার লোকজন শৌচালয় নিয়ে আমার কাছে খোঁজ নিতে আসেননি। কেন তাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন, বুঝতে পারছি না। দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়। তবে খোঁজ নেব।’’

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা নির্মাল্য দেওঘরিয়াও। তিনি দাবি করেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে বিজেপি। নিয়ম অনুযায়ী নির্মিত শৌচালয়ের পাশে উপভোক্তাকে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে, নথিতে উপভোক্তার স্বাক্ষর নেওয়ার পরেই ঠিকা সংস্থাকে টাকা দেওয়া হয়। ফলে, শৌচালয় তৈরিতে দুর্নীতি সম্ভব নয়।” বিডিও (কাশীপুর) সুদেষ্ণা দে মৈত্র বলেন, ‘‘তালজুড়ি গ্রামে শৌচালয় তৈরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির খবর জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে তদন্তের নির্দেশ এলে যথাযথ তদন্ত করা হবে।”

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE