জোটের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরের দিনই দুই দলের নেতা কর্মীরা রণকৌশল ঠিক করতে বসলেন বৈঠকে। শম্পা দরিপার নির্বাচনী প্রচারের জন্য সেই বৈঠকে গঠন করা হল কমিটি। বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার স্কুলডাঙায় সিপিএম পার্টি অফিসে কংগ্রেস এবং সিপিএমের স্থানীয় নেতা কর্মীরা বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী স্বয়ং। বৈঠকে যোগ দেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রতীপ মুখোপাধ্যায়, জেলা কমিটির সদস্য সুবিকাশ চৌধুরী প্রমুখ। সূত্রের খবর, কংগ্রেস এবং বাম কর্মীদের নিয়ে ১০ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নিযুক্ত হয়েছেন প্রতীপবাবু। শম্পাদেবীর নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন সুবিকাশবাবু। শুক্রবার শম্পাদেবী মনোনয়ন জমা করবেন বলে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবারই বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের একটি যৌথসভাও হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতীপবাবু বলেন, “বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত এলাকায় প্রার্থীকে নিয়ে আমরা প্রচার চালাবো। তা ছাড়াও দলীয় কর্মীরা বুথে বুথে প্রচারের কাজ চালিয়ে যাবেন।” এদিন বিকেলে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীদের একটি বৈঠক হয় রামপুর সংলগ্ন এলাকার একটি লজে। সেখানেও যোগ দেন শম্পাদেবী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট প্রচারের কর্মসূচি ঠিক করছে। বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি গ্রামেই আমি যেতে চাই।” অরূপবাবু বলেন, “জোটের কাছে পরাজিত হবে তৃণমূল।’’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “আমাদের হারানোর নিয়ে না হয় পরে ভাববেন ওঁরা। আপাতাত ভোটের দিন প্রতিটি বুথে এজেন্ট দেওয়ার মতো মানুষ দুই দল মিলিয়ে রয়েছেন কি না সেটাই বরং গুনে দেখুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy