Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

কলাভবন-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করল তদন্ত কমিটি

কলাভবন-কাণ্ডে বোলপুর সংশোধনাগারে ঢুকে অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’। রবিবার দুপুরে ওই ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার আগে অবশ্য কমিটির দুই সদস্য মিহির চৌধুরী এবং রত্নাবলী বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রথম বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তর সঙ্গেও কথা বলেছেন। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, লিখিত অভিযোগে ঘটনার কথা জানালো হলেও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আগে অবধি তা নিয়ে গুরুত্ব দেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ দিনই আবার ছাত্রীর বাবার তোলা হুমকির অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে কমিটি।

সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে বেরোচ্ছেন ইউজিসি-র প্রতিনিধি। বোলপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে বেরোচ্ছেন ইউজিসি-র প্রতিনিধি। বোলপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২৩
Share: Save:

কলাভবন-কাণ্ডে বোলপুর সংশোধনাগারে ঢুকে অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’। রবিবার দুপুরে ওই ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার আগে অবশ্য কমিটির দুই সদস্য মিহির চৌধুরী এবং রত্নাবলী বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রথম বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তর সঙ্গেও কথা বলেছেন। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, লিখিত অভিযোগে ঘটনার কথা জানালো হলেও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আগে অবধি তা নিয়ে গুরুত্ব দেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ দিনই আবার ছাত্রীর বাবার তোলা হুমকির অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে কমিটি। শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যান কমিটির সদস্যরা। তখনই কমিটির সদস্যেরা তাঁকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। ওই অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিহিরবাবু বলেন, “আপনারা সেটা বিশ্বাস করেন? অভিযোগ যে কেউ করতেই পারেন। সেটা আপনাদের বিচার। ওঁদেরই জিজ্ঞাসা করুন।” বিশ্বভারতীর সূত্রের খবর, ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় এ দিন বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলে ওই কমিটি। সদস্যেরা হাসপাতালে ভর্তির সময়ের ছাত্রীর রিপোর্ট দেখেন। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে দু’বার ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাই চিকিৎসকদের সঙ্গে কমিটি কথা বলে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলাভবনের অধ্যক্ষ শিশির সাহানা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যান হাসপাতালেই। এবং সেখানেই ঘটনার কথা জানিয়ে প্রথম কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতা ছাত্রী।

এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বাসভবন ‘পূর্বিতা’ থেকে হেঁটে রথীন্দ্র অতিথি গৃহে ঢুকে যান উপাচার্য। সংশোধনাগার যাওয়ার আগে সেখানেই টানা দেড় ঘণ্টা ধরে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে কমিটি। সদস্যদের তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। বেলা একটা নাগাদ তাঁকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। কি কথা হল কমিটির সঙ্গে? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, “নো কমেন্ট।” কমিটিকে কি বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে? উত্তরে সুশান্তবাবু “নো কমেন্ট, মেক ইউর কমেন্ট” বলে চলে যান।

এ দিন বোলপুর সংশোধনাগারে গিয়ে তিন অভিযুক্তের সঙ্গেও কথা বলেছে কমিটি। তবে, নির্ধারিত দেড় ঘণ্টার জায়গায় মাত্র ২০ মিনিট ধরেই তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বোলপুর উপ-সংশোধনাগার থেকে ফিরে কমিটি বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের ফের ডেকে নেয়। এ দিকে বিশ্বভারতীতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, বোলপুরের টুরিস্ট লজ মোড়ে একটি প্রতিবাদ সভা করে বিজেপির মহিলা মোর্চা। সংগঠন বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE