এলাকায় এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট, ডিজিটাল কার্ড নিয়ে সমস্যা, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ সামগ্রী বিলির দাবিতে ব্লকে ব্লকে স্মারকলিপি দিলেন কংগ্রেস এবং বাম কর্মীরা। শুক্রবার মুরারই ১ ব্লকে নেতৃত্ব দেন সিপিএমের মুরারই জোনাল সম্পাদক দুকড়ি রাজবংশী, রামপুরহাটে নেতৃত্ব দেন রামপুরহাট ১ জোনাল নেতা দিলীপ মেহেনা ও শহর কংগ্রেস নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এলাকায় এলাকায় সরকারি নলকূপ দীর্ঘ দিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অনেক ক্ষেত্রে জলস্তর নীচে নেমে গিয়েছে। কুয়োর জল শুকিয়ে গিয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘‘এখনও পর্যন্ত বহু মানুষকে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আনা যায়নি। ডিজিটাল রেশন কার্ডও সকলে পাননি।’’ নলহাটি থানার মাধবপুর গ্রামে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং রামপুরহাট থানার ছিটাসপুর গ্রামে ঝড়ের দাপটে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিকদের উপযুক্ত ত্রাণ সরবরাহের দাবিও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিডিও-রা।
অন্য দিকে, বোলপুর পুরসভা এলাকার একাধিক ওয়ার্ড এবং পঞ্চায়েত এলাকাগুলির জলসঙ্কট রুখতে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানাল বামপন্থী কৃষক সংগঠন। শুক্রবার দুপুরে বোলপুরের মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতারা। বামপন্থী কৃষক সংগঠনের অভিযোগ, পুরসভার ২০ ওয়ার্ড এবং ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সেচ এলাকায় জল সরবরাহ অপ্রতুল। তাতে চাষিদের ক্ষকি হচ্ছে বলেও দাবি নেতৃত্বের। কৃষি কর্তাদের অবশ্য মত, ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়া এবং জলের অপচয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকায় পানীয় জলের জোগানের অন্যতম উৎস ইন্দো-জার্মান জল প্রকল্পের প্রয়োজনীয় নজরদারির দাবিও তুলেছেন তাঁরা। বোলপুরের এসডিও শম্পা হাজরা সমস্যা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy