Advertisement
০৩ মে ২০২৪

জট কাটল প্রধানমন্ত্রীর হেলিপ্যাডের, স্বস্তি বিজেপির

জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘হেলিপ্যাডের মাঠ নিয়ে কিছুটা জটিলতা ছিল। তবে তা মিটে গিয়েছে। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে।’’

কর্মব্যস্ত: কাজ চলছে হেলিপ্যাডের। সোমবার কামারপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

কর্মব্যস্ত: কাজ চলছে হেলিপ্যাডের। সোমবার কামারপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৩
Share: Save:

প্রথমে সভার জায়গা নিয়ে ধন্দ, পরে তা ঠিক হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার কোথায় নামবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল জেলা বিজেপিতে। শেষ পর্যন্ত সব ধন্দ কেটে যাওয়ায় ফিরল স্বস্তি।

বুধবার বোলপুর ও ইলামবাজারের মধ্যে কামারপাড়া মাঠে জনসভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সভামঞ্চ থেকে ২০০ মিটার দূরে তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘হেলিপ্যাডের মাঠ নিয়ে কিছুটা জটিলতা ছিল। তবে তা মিটে গিয়েছে। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে।’’

সোমবার দুপুরে কামারপাড়া মাঠে গিয়ে দেখা গেল, প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক হেলিপ্যাড তৈরির কাজে ব্যস্ত। কোথাও ইট, বালি নামছে। কোথাও হেলিপ্যাডের জায়গা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হবে সেখানে। একটি সভামঞ্চ থেকে ২০০ মিটার দূরে। তা থেকে ৩০ মিটার দূরত্বে দুই কোণায় আরও দু’টি হেলিপ্যাড তৈরি হবে। তিনটি হেলিপ্যাডের প্রতিটি হবে ৩০ মিটার ব্যাসের। মঙ্গলবারই তিনটি হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শেষ হওয়ার কথা। হেলিপ্যাড থেকে সভামঞ্চ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটি অস্থায়ী রাস্তাও তৈরি করা হবে। ২০০ মিটার লম্বা এবং ৪ মিটার চওড়া হবে ওই রাস্তাটি।

মোদীর ওই জনসভার মাঠ নিয়ে কেমন জটিলতা ছিল?

বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথমে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন জানায়, ওই তারিখে আগেই ওই মাঠে সিপিএমকে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর পরই কামারপাড়ার মাঠের জন্য আবেদন জানিয়ে অনুমতি পান বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। জেলা বিজেপির একটি সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে বিশ্বভারতী মেলার মাঠ, পল্লিশিক্ষা ভবনের মাঠ বা কুমিরডাঙার মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বিশ্বভারতীকে চিঠিও দেওয়া হয়।

বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, জেলা বিজেপির ‘লেটারহেডে’ একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেখানে মেলার মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির অনুমতি চাওয়া হয়। বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কোনও আবেদন পেলে আমরা অবশ্যই বিষয়টি ভেবে দেখতাম। কিন্তু তেমন কোনও আবেদন পাইনি। কোনও রাজনৈতিক দলের লেটারহেডে আসা আর্জির ভিত্তিতে এমন অনুমতি দেওয়া যায় না।’’

এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরাও। তাঁরা জানান, ২০১৮ সালের মে মাসে সমাবর্তনের আগে মেলার মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। মেলার মাঠের বাতিস্তম্ভগুলিও তুলে ফেলা হয়। বৈদ্যুতিক তারও খুলে দেওয়া হয়। গত ডিসেম্বরে পৌষমেলার আগে মেলার মাঠে আলো বসানোর প্রয়োজন হয়। সেই সময় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্যদ প্রায় ৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার বিনিময়ে মেলার মাঠে ফের বাতিস্তম্ভ বসিয়ে দেয়। সেই টাকা জেলা প্রশাসনের দেওয়ার কথা থাকলেও সেই মুহূর্তে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে দিতে হয়েছিল। এ বিষয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্মানীয় সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘সেই টাকার কিছুই এখনও পাইনি আমরা। অথচ ওই টাকা দেওয়ার দায় কোনও ভাবেই আমাদের ছিল না। ফের মেলার মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি করা হতো, তা হলে একই পরিস্থিতি তৈরি হতো।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Helipad Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE