প্রতীকী চিত্র।
লোকসভায় দলের প্রার্থীর হয়ে দিনভর দেওয়াল লিখে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। পরের দিন জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পুরুলিয়ার আড়শার সেনাবনা গ্রামের শিশুপাল সহিস নামে সেই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ‘‘শিশুপাল সহিসের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এটি যে আত্মহত্যা, তা-ও জানানো হয়েছে।’’
পুরুলিয়ার আড়শার সেনাবনা গ্রামের শিশুপালের দেহ গত ১৮ এপ্রিল জঙ্গলের গাছ থেকে উদ্ধার হয়। পরিজনেরা দাবি করেছেন, দিনভর বিজেপি প্রার্থীর নামে দেওয়াল লেখার পরে বাড়ি থেকে খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক। আর ফেরেননি। দেহ উদ্ধারের কয়েক দিন পরে শিশুপালের বাবা যাদব সহিস আড়শা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হলেও অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনায় বিজেপি আঙুল তুলেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্টেই প্রমাণিত হল, বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।’’
তবে পুলিশের এ দিনের দাবি মানতে নারাজ শিশুপালের বাবা যাদব সহিস। বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুলাল কুমারও আত্মহত্যা করেছিলেন বলে গোড়ায় পুলিশ দাবি করেছিল। আমরা চাই সিবিআই তদন্ত হোক। সত্যিটা উঠে আসুক।’’ গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের পরে বলরামপুরে দুই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সুপুরডি গ্রামের ত্রিলোচন মাহাতো এবং ডাভা গ্রামের দুলাল কুমার। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুলিশ দাবি করেছিল, দুলালের মৃত্যু আত্মহত্যা। পরে সিআইডি খুনের মামলা রুজু করার নির্দেশ দেয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা পুলিশ সুপার জানান, শিশুপালের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন তিন জন চিকৎসক। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে। মৃতদেহের ভিসেরা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সেনাবনা গ্রামে গিয়ে শিশুপাল-কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। যাদববাবু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে তো কোনও ঝগড়াঝাঁটি হয়নি। রিপোর্ট কী এসেছে জানি না, আমার বোধগম্য হচ্ছে না কেন ও আত্মহত্যা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy