রেশনে গ্রাহকদের কম চাল দেওয়ার অভিযোগে মাঝে মধ্যেই সরব হতেই বিরোধীরা। এ বার লোকসভা ভোটের মুখে সেই একই অভিযোগ তুলল শাসকদল তৃণমূলও। রেশনে গ্রাহকেরা কেন চাল কম পাচ্ছেন, তা দলের লেটারহেডে লিখিত ভাবে জেলাশাসককে জানিয়েছেন বলরামপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, এই অভিযোগ প্রশাসনে জমা পড়ার পরে জেলা খাদ্য দফতরের তরফে বলরামপুরে গিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক বাপ্পাদিত্য চন্দ্র বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। কী কারণে চাল কম দেওয়া হচ্ছে, কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
জঙ্গলমহলের বিভিন্ন ব্লকে রেশনে গ্রাহকদের প্রাপ্যের থেকে কম পরিমাণে চাল দেওয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরুলিয়া কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতো। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভার আইন প্রণয়ন বিষয়ক কমিটি পুরুলিয়া-বাঁকুড়া সফরে এসেছিল। সে সময় তাঁরা গণবণ্টন ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে বাসিন্দাদের কাছে চাল কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শোনেন। তারপরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি।
বলরামপুরের গেঁড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরগি গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণ কুমার, প্রভু কুমার, প্রবোধ মাঝি প্রমুখের দাবি, তাঁদের কার্ড পিছু দু’কেজি করে চাল পাওয়া কথা। কিন্তু কার্ড পিছু একশো গ্রাম করে চাল কম দেওয়া হচ্ছে।
প্রবোধ মাঝির অভিযোগ, ‘‘আমার প্রাপ্য ১৪ কেজি চাল। কিন্তু, প্রায় ১৩ কেজি চাল পাচ্ছি।’’ এই গ্রামেরই বাসিন্দা মানিক তন্তুবায়ের কথায়, ‘‘আমার আটটি কার্ড আছে। ১৬ কেজির বদলে প্রায় ১৫ কেজি চাল পাচ্ছি। কেন চাল কম দেওয়া হচ্ছে, তা রেশন ডিলাররা জানাচ্ছেন না।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সেই অভিযোগ পৌঁছেছে তৃণমূলের বলরামপুর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি সুভাষ দাস গোস্বামীর কাছেও। তিনি বলেন, ‘‘গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই প্রশাসনকে জানাতে বাধ্য হয়েছি। গ্রাহকদের জন্য যা বরাদ্দ তার থেকে কম চাল তাঁদের কেন দেওয়া হবে? প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’
ওয়েস্টবেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পুরুলিয়া জেলার শাখার সম্পাদক প্রভাশিসলাল সিংহ দেও দাবি করেন, ‘‘ডিলাররাই কম চাল পাচ্ছেন। তাই কোথাও কোথাও গ্রাহকদের প্রাপ্যের থেকে কিছু পরিমাণে চাল কম দিতে হচ্ছে। আশাকরি জেলা খাদ্য দফতর সমস্যার সমাধান করবে।’’ প্রশাসনের আশ্বাস, গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy