আজ বীরভূম সফরে বোলপুর আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফরের ইচ্ছের কথা জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টা আগে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগযোগ করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। আর তাই কার্যত চোখের ঘুম উবেছে জেলা পুলিশ প্রশাসনের। এইবারের জেলা সফরে তিনি জনসভা না করলেও, জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে তাঁর। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই, কোন দফতরের কি কি কাজকর্ম হয়েছে জানতে চাইবেন তিনি। আর তা নিয়েই কার্যত ঘুম নেই সেই সকল কর্মকর্তা এবং আধিকারিকদের।
বোলপুর সফরে এলে, সাধারণত আমারকুটির লাগোয়া রাজ্য সরকারের রাঙ্গাবিতানে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গন এবং বোলপুরের মহকুমা শাসকের দফতরের সভাগৃহ তাঁর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য অনেকবার বাছা হয়েছে। তাই শনিবার সকাল থেকে কার্যত শ্বাস ফেলার জো নেই, জেলা পুলিশ প্রশাসনের। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জায়গা ‘রাঙ্গাবিতান’কে ঢেলে সাজানোই নয়। প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য ‘গীতাঞ্জলি’ ও মহকুমা শাসকের দফতরের সভা কক্ষও কার্যত সেজে উঠছে। এ দিন দুপুরে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ প্রশাসনিক বৈঠকের জায়গা, মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জায়গা ঘুরে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য আসা যাওয়ার পথও ঘুরে দেখেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সিউড়িতে প্রস্তুতির একটি বৈঠক হয়েছে এ দিন।
রবিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে তাঁর আসার কথা রয়েছে। তাঁর দফতর থেকে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর কুমিরডাঙ্গার মাঠে তাঁর হেলিকপ্টার নামার কথা। সেখানে বিশ্বভারতীর পক্ষে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য হাজির থাকছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত। স্বপনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী শহরে আসছেন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রবীন্দ্রনাথ এবং বিশ্বভারতী প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং সম্মানের কথা সকলে জানেন। আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করব।”
মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামার জন্য বিশ্বভারতীর কুমিরডাঙ্গার মাঠে তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড। তাঁর সফরকে ঘিরে সব মিলিয়ে সাজোসাজো রব বোলপুর এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy