Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

গভীর রাতে কাঁপল মাটি

রবিবার জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সন্ধ্যের দিকেও বৃষ্টি হয়।

চিহ্ন: গৃহস্থের দাবি, এই ফাটল ভূমিকম্পের পরেই দেখা গিয়েছে। কুড়তোপা গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

চিহ্ন: গৃহস্থের দাবি, এই ফাটল ভূমিকম্পের পরেই দেখা গিয়েছে। কুড়তোপা গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০০:৪৩
Share: Save:

রবিবার গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পুরুলিয়া। রাত ২টো ৫৫ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪-এর কাছাকাছি। কয়েকটি জায়গা থেকে বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরার খবর শোনা গেলেও বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

রবিবার জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সন্ধ্যের দিকেও বৃষ্টি হয়। জেলা বিজ্ঞানকেন্দ্রের আধিকারিক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানান, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ২৩.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৬.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। জায়গাটি কেন্দা থেকে উত্তর পূর্ব দিকে আঠারো কিলোমিটার দূরে। উৎস মাটি থেকে ২২ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪। একে মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প বলা চলে।

দশ বছর আগে এই এলাকা একই ভাবে ভোরে কেঁপে উঠেছিল বলে জানান ধ্রুবজ্যোতিবাবু। তিনি বলেন, ‘‘২০০৯ সালের ২৬ মার্চ ভোর ৪টে ৪৪ মিনিটে এই জায়গাতেই ভূমিকম্প হয়েছিল। সে বার কেন্দ্রস্থল ছিল ২২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১।’’

কেন্দা থানা এলাকার কুড়ুকতোপা গ্রামের মনোজিৎ মাহাতোর বাড়ির দেওয়ালে আড়াআড়ি ফাটল দেখা গিয়েছে। তাঁর দাবি, ভূমিকম্পের পরেই ফাটল ধরেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ বুঝতে পারি, গুড়গুড় করে জোরে শব্দ হচ্ছে। একটা তক্তপোশের উপরে ঘুমোচ্ছিলাম। সেটা বেশ জোরেই কাঁপছিল। তখনই বুঝে যাই ভূমিকম্প হচ্ছে।’’ ছুটে বাড়ির বাইরে আসেন সবাই। দেখেন, গ্রামের অনেকেই বেরিয়ে এসেছেন। তাঁর দাবি, সকালে বাড়ির দেওয়ালের একেবারে নীচ থেকে উপর পর্যন্ত ফাটল চোখে পড়ে। মনোজিৎ বলেন, ‘‘আমাদের একটাই ঘর। কাঁপুনি আর অল্প সময় চললে দেওয়ালটা হয়তো পড়ে যেত।’’

পুরুলিয়া শহরের চণ্ডী কর লেনে থাকেন সকুমার পাল। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেফিরে পথকুকুরদের যত্নআত্তি করেন। সুকুমার বলেন, ‘‘বাড়িতেও গোটা চারেক কুকুর রয়েছে। রাতে দেখি, চার জনেই খুব চিৎকার জুড়েছে। উঠে পড়ি। প্রথমে ভেবেছিলাম কিছু ঘরে ঢুকে পড়েছে হয়তো। আর তখনই খাটটা নড়তে শুরু করল।’’ শহরের আমডিহা এলাকার মীরা মাহাতো বলেন, ‘‘আসবাব তো কাঁপছিলই। এত জোরে শব্দ হচ্ছিল, ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Purulia Earthquake
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE