পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বার্ষিক পরিকল্পনায় তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা সিমলাপাল ব্লকের প্রকল্প পছন্দ হয়নি বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। এ বার তড়িঘড়ি বৈঠক করে বিধায়ক সেই প্রকল্প বাতিল করার প্রস্তাব দিলেন বিডিও-কে। বিধায়কের পরামর্শ মতো নতুন পরিকল্পনার প্রক্রিয়া শুরু করল সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতি।
তাদের আওতায় থাকা পাঁচটি জেলার ৭৪টি ব্লককে বার্ষিক পরিকল্পনা খাতে চলতি অর্থবর্ষে ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। সেই অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্লক থেকে রাস্তাঘাট উন্নয়ন, সেচ ব্যবস্থা, পানীয় জল, নিকাশি নালা গড়ার মতো বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তা পর্ষদের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে জঙ্গলমহলের অন্যতম ব্লক, বাঁকুড়ার সিমলাপাল থেকে আসা প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাঁধে। পর্ষদের ১ কোটি টাকায় এই ব্লকে ১৫টি কৃষিচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ব্লকের পরিকাঠামোর উন্নয়নমূলক কোনও প্রকল্প কেন নেওয়া হল না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন।
তালড্যাংরার বিধায়কও ব্লকের নেওয়া প্রকল্পের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি। বিষয়টি জানতে পেরেই তিনি এ নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গেও এ নিয়ে তিনি কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই সিমলাপাল ব্লক অফিসে বিডিও তপন মণ্ডল ও সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুরজিৎ পতির সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিধায়ক সমীরবাবু। বৈঠকে তিনি ব্লকের রাস্তাঘাট নির্মাণ, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, সেচনালা তৈরি ও নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রকল্প নেওয়ার পরামর্শ দেন। বৈঠক শেষে সমীরবাবু জানান, পর্ষদের বরাদ্দ অর্থে তিনি এলাকার জনজীবন ও কৃষির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রকল্প নেওয়ায় জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “রাজ্যের ঘাড়ে এমনিতেই মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝা। এই অবস্থায় প্রতিটি প্রকল্পের অর্থ সঠিক খাতে যাতে ব্যবহার করা হয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সে বিষয়ে বারবার সচেতন করে দিয়েছেন।’’
সুরজিৎবাবু জানান, পর্ষদের বরাদ্দ অর্থে বিধায়কের পরামর্শ মতো নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সেই মোতাবেক শীঘ্রই পঞ্চায়েত সমিতিতে বৈঠক ডাকা হবে। বিডিও বলেন, “পর্ষদের টাকায় কী প্রকল্প নেওয়া হবে, তা ঠিক করে পঞ্চায়েত সমিতি। সেখান থেকে যেমন প্রকল্প এসেছিল তাই পর্ষদে পাঠিয়েছিলাম। বিধায়ক নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতি এ ব্যাপারে আলোচনায় বসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy