Advertisement
০৩ মে ২০২৪

প্লাস্টিক-মুক্তির খোঁজ

হাজার তিরিশেক বাসিন্দার এই শহরে ছোট বড় মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা দুশোর কাছাকাছি। এ ছাড়াও রয়েছে রাস্তার ধারের ছোট দোকান, আনাজ বাজার। সর্বত্রই বেচাকেনায় প্লাস্টিকের ব্যাগ কার্যত অপরিহার্য।

প্রচারে পুরপ্রধান।—নিজস্ব চিত্র

প্রচারে পুরপ্রধান।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ১৫:৪৫
Share: Save:

গ্রিন সিটির তালিকাভূক্ত হওয়ার পরেই শহরে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগী হল রঘুনাথপুর পুরসভা। ইতিমধ্যেই সমস্ত দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সেরে এসেছেন পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। ভবেশবাবু জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁরা পুরএলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে চাইছেন।

হাজার তিরিশেক বাসিন্দার এই শহরে ছোট বড় মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা দুশোর কাছাকাছি। এ ছাড়াও রয়েছে রাস্তার ধারের ছোট দোকান, আনাজ বাজার। সর্বত্রই বেচাকেনায় প্লাস্টিকের ব্যাগ কার্যত অপরিহার্য। এই পরিস্থিতিতে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যাবহার বন্ধে কতটা সফল হবে পুরসভা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। রঘুনাথপুরের আগে শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে পুরুলিয়া পুরসভা। কিন্তু এখনও ফল মেলেনি।

তবে রঘুনাথপুর পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসন আশাবাদী। ভবেশবাবু বলেন, ‘‘দফায় দফায় আমরা সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে দোকানে, বাজারে গিয়ে দোকানদারদের বোঝাচ্ছি। শহরের স্বার্থে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করে কাগজের ঠোঙা এবং কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছে। স্কুলে গিয়েও ছাত্রছাত্রীদের বোঝাচ্ছেন কাউন্সিলররা।’’

পরবর্তী ধাপে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে বলে জানান ভবেশবাবু। তবে রঘুনাথপুর মহকুমাশাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাধারণ বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা। পুরসভার সঙ্গে আমরা সেটাই তৈরি করতে চাইছি।”

গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পের প্রথম তালিকায় রঘুনাথপুরের নাম ছিল না। পরের ধাপে ওই প্রকল্পে রঘুনাথপুরকে অন্তর্ভুক্ত করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার পরেই রঘুনাথপুরকে প্লাস্টিকমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। পুরসভার দাবি, নিরন্তর প্রচারে ইতিমধ্যে কিছু ফল মিলেছে। সংখ্যায় কম হলেও কিছু দোকানে কাগজের ঠোঙা ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার শুরু হয়েছে।

পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শহরের ব্যবসায়ীরা। বৈদ্যনাথ নাগ, লক্ষ্মণ পরামানিক, বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঞ্চন নাগরা বলেন, ‘‘শহরের পরিবেশের স্বার্থে এটা ভাল উদ্যোগ।’’ কিন্তু প্রথম কয়েক মাস প্রচার চালিয়ে ক্ষান্ত দিলে এই উদ্যোগ মাঠে মারা যাবে বলে মত ওই ব্যবসায়ীদের। তাঁদের কথায়, ‘‘প্রতিটি দোকান যাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করে সেটা দেখতে হবে পুরসভাকে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Municipality Plastic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE