ডায়েরিয়ায় পরের পর গ্রামবাসীর আক্রান্ত হওয়া এবং এক বালিকার মৃত্যুর অভিযোগের পরেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। পাইকরের হালদারপাড়ায় শুরু হল পানীয় জল সরবরাহের নতুন পাইপ লাইন বসানোর কাজ।
শনিবার পাইকর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল হালদারপাড়ায় পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। জলপ্রকল্পের স্ট্যান্ড পয়েন্টেগুলির প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। আপাতত বর্ধমান থেকে পরিস্রুত পানীয় জলের গাড়ি পাইকরের বিভিন্ন পাড়ায় জল সরবরাহ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ হাজারের মতো পরিস্রুত পানীয় জলের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে পাইকর গ্রামে। পাইকর গ্রামে প্রতিটি পুকুর, নর্দমা, রাস্তার ধারে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে। গ্রামে মেডিক্যাল অফিসার, আশাকর্মীরা হ্যালোজেন ট্যাবলেট, ওআরএস বিলি করছেন। প্রত্যেক পরিবারের সদস্যকে জল ফুটিয়ে, হাত ধুয়ে খাবার খাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
পেটের রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার থেকে পাইকর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন হালদারপাড়ার মানুষজন। বৃস্পতিবার রাতে তৃষা ভাস্কর (৮) নামে এক বালিকার মৃত্যুতে এলাকায় ক্ষোভ ছড়ায়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসী। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ৩৩টি শয্যা থাকলেও ৬৫ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী বর্তমানে ভর্তি। ফলে রোগীদের মেঝেয় বিছানা করে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে তাই ক্ষোভ রয়েছে মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দা দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রামীণ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা খুব কম। তা বাড়ালে গ্রামবাসী উপকৃত হবেন। ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। মেঝেয় রোগীদের ফেলে রাখা ঠিক নয়।’’