Advertisement
E-Paper

নাকে ‘এ’ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নিস্তারিণী

নাক (ন্যাশন্যাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল)-এর মূল্যায়নে ‘এ’ গ্রেড পেল পুরুলিয়া নিস্তারিণী গার্লস কলেজ। চলতি মরসুমে নাকের মূল্যায়ন করা দুই জেলার কলেজগুলির মধ্যে একমাত্র নিস্তারিণী কলেজই ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
বুধবার পুরুলিয়া নিস্তারিণী কলেজে তোলা নিজস্ব চিত্র।

বুধবার পুরুলিয়া নিস্তারিণী কলেজে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নাক (ন্যাশন্যাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল)-এর মূল্যায়নে ‘এ’ গ্রেড পেল পুরুলিয়া নিস্তারিণী গার্লস কলেজ। চলতি মরসুমে নাকের মূল্যায়ন করা দুই জেলার কলেজগুলির মধ্যে একমাত্র নিস্তারিণী কলেজই ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে। সম্প্রতি নাকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে জানা গিয়েছে ৪ ক্রেডিট পয়েন্টের মধ্যে নিস্তারিণী গার্লস কলেজের সিজিপিএ ৩.১৩। দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নাকের মূল্যায়ন করাতে হয়। পুরুলিয়া নিস্তারিণী কলেজের অধ্যক্ষা ইন্দ্রাণী দেব জানান, এটি নাকের দ্বিতীয় দফার মূল্যায়ন ছিল। ২০০৫ সালে নাকের রিপোর্টে এই কলেজ পেয়েছিল বি++ গ্রেড।

নাকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দুই জেলার বেশ কিছু কলেজে এই মরসুমে দ্বিতীয় দফার মূল্যায়ন হয়েছে। তার মধ্যে পুরুলিয়ার মানভূম মহাবিদ্যালয় পেয়েছে বি++ গ্রেড (সিজিপিএ ২.৭৮)। বাঁকুড়ারর চারটি কলেজ পেয়েছে বি+ গ্রেড। তারমধ্যে রয়েছে পাঁচমুড়া মহাবিদ্যালয় (সিজিপিএ ২.৭১), সম্মিলনী কলেজ (সিজিপিএ ২.৬৭), শালডিহা কলেজ (সিজিপিএ ২.৬৩) এবং খাতড়া আদিবাসী মহাবিদ্যালয় (সিজিপিএ ২.৫৪)। প্রথম দফার মূল্যায়নে বাঁকুড়ার সোনামুখী কলেজ পেয়েছে বি গ্রেড (সিজিপিএ ২.৩৭)।

নাকের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, দ্বিতীয় বারের মূল্যায়নে কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজও পেয়েছে সিজিপিএ ৩.১৩। নিস্তারিণী কলেজের সমান। তার পরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ— সিজিপিএ ৩.১১। তবে শিক্ষাবিদদের একাংশ জানান, নাকের মূল্যায়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মরসুমে বিভিন্ন কলেজ নিজেদের প্রস্তুতি মতো মূল্যায়নের জন্য নাকের কাছে আবেদন করতে পারে। যেহেতু সমস্ত কলেজ এক মরসুমে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় না, তাই গোটা রাজ্যের শিক্ষামানচিত্রে কোনও কলেজের তুল্যমূল্য মান নির্দিষ্ট মরসুমে প্রকাশিত তালিকা থেকে যাচাই মুশকিল। তবে এর থেকে কোনও কলেজের পড়াশোনা এবং পরিকাঠামোগত মানের আন্দাজ পাওয়া যায়।

জেলার মেয়েদের কলেজের এ হেন স্বীকৃতিতে খুশি পড়ুয়া এবং শিক্ষকেরা। অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘আমরা ৫৪০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। সেটি পড়ে নাকের প্রতিনিধিরা কলেজে এসে নিজেরা সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখেন। তাঁরা শিক্ষক, পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন।’’ সাফল্যে খুশি পড়ুয়ারাও। রিয়া ঘোষ, মৌ ভট্টাচার্য, প্রতিমা দে, প্রণমা দে, কঙ্কণা সরকাররা বলেন, ‘‘এই কলেজের ছাত্রী ভেবে গর্ব হচ্ছে।’’

নিস্তারিণী কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা জানান, বইয়ের পড়া ছাড়াও বাইরের বড় জগতের কথা ভেবে তাঁরা ছাত্রীদের তৈরি করেন। তাঁদের শারিরীক এবং মানসিক ভাবে শক্ত সমর্থ করে তোলা, সাংস্কৃতিক চেতনা তৈরি— এই সমস্ত কিছুকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলির পরিদর্শক প্রিয়নাথ হালদার বলেন, ‘‘নিস্তারিণী কলেজের ফলাফল জেলার অন্য কলেজগুলিকে প্রেরণা দেবে।’’ অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘ছাত্রী-শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই মিলে আমরা একটা পরিবার। সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় জোর।’’

NAAC grade Nistarini college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy