Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Recovery of Bomb

বাজি ভর্তি বস্তা আঁকশি দিয়ে টানাটানি পুলিশের

বাঁকাদহ থেকে জয়পুর যাওয়ার পিচ রাস্তার ধারে সকালে ছাতু সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকার মহিলারা ওই মুখ বন্ধ বস্তা দেখতে পান। পাশে কয়েকটি গাছবোম পড়ে থাকায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেন।

বাঁশের মাথায় আঁকশি দিয়ে বাজির বস্তা খোলা চলছে।

বাঁশের মাথায় আঁকশি দিয়ে বাজির বস্তা খোলা চলছে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০৫
Share: Save:

পিচ রাস্তার পাশে এক বস্তা গাছবোম। পুলিশ আর সিভিক কর্মীরা দূর থেকে একটা সরু বাঁশ আর আঁকশি দিয়ে সেই বস্তার মুখ খোলার চেষ্টা করছেন। পাশের রাস্তা দিয়ে তখন স্কুলে যাচ্ছে এক ঝাঁক পড়ুয়া। সোমবার সকালে বিষ্ণুপুর ব্লকের বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের চাঁচর গ্রামে বোমা উদ্ধারের এই ঘটনায় পুলিশ ও সিভিক কর্মীদের সতর্কতায় ফাঁক ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, যদি কোনও কারণে বিস্ফোরণ ঘটে যেত, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত।

বাঁকাদহ থেকে জয়পুর যাওয়ার পিচ রাস্তার ধারে সকালে ছাতু সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকার মহিলারা ওই মুখ বন্ধ বস্তা দেখতে পান। পাশে কয়েকটি গাছবোম পড়ে থাকায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেন। খবর যায় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে। ঘটনাস্থলে আসেন বিষ্ণুপুর থানার আধিকারিকেরা।

ততক্ষণে সেখানে পাশের বাঁকাদহ, চাঁচর, বাগডোবা, ভিমারডাঙা, দুন্দুর, আমডহরা গ্রামের লোকজনের ভিড় জমে যায়। স্থানীয়েরা জানান, পুলিশ ও সিভিক কর্মীরা একটি সরু বাঁশ এনে তার মুখে আঁকশি বেঁধে দূর থেকে বস্তার মুখ খোলার চেষ্টা করেন। তারপরে বস্তাটি টেনে এনে তা থেকে হাত দিয়ে বাজিগুলি বের করে ড্রাম ভর্তি জলে ডুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করেন। সেই সময় পাশ দিয়ে স্কুল পড়ুয়ারা যাতায়াত করছিল। তাঁদের প্রশ্ন, বস্তা ধরে টানাটানিতে যদি সবগুলো একসঙ্গে ফেটে যেত, তাহলে পুলিশ ও রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী সবারই বিপদ হতে পারত। পুলিশের সতর্কতামূলক বিশেষ পোশাক পরে, নির্দিষ্ট সরঞ্জাম দিয়েই বাজিগুলি উদ্ধার করা উচিত ছিল। যদিও বিষ্ণুপুর থানার আইসি অতনু সাঁতরার দাবি, ‘‘বড় রকমের কোনও বিস্ফোরক নয়। চারিদিকে লোক উৎসব চলছে। আনন্দ করার জন্য কেউ গাছবোম এনেছিল। সতর্কতার সঙ্গেই বাজি উদ্ধার করছেন প্রশিক্ষিত কর্মীরা।’’ কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বিপদের ভয় যদি না-ই ছিল, তাহলে পুলিশ তাঁদের মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে বারণ করছিল কেন?

বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, ‘‘অবশ্যই সাবধানতা নেওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হবে।’’ বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। সে কারণে কেউ বাজি ভর্তি বস্তা রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bishnupur police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE