Advertisement
০৬ মে ২০২৪
police

৭ মাস ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধকে বাড়ি ফেরালেন আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’ সুকুমার

প্রায় ৭ মাস ধরে নিখোঁজ থাকা মানসিক ভাবে অসুস্থ এক বৃদ্ধকে বাড়ি ফিরিয়ে দিলেন হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশলাইনে কর্তব্যরত কনস্টেবল সুকুমার উপাধ্যায়।

Police staff of Bankura Sukumar Upadhyay helped a man to get back his family

বৃদ্ধকে বাড়ি ফিরিয়ে দিলেন সুকুমার উপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:১৪
Share: Save:

প্রায় ৭ মাস ধরে নিখোঁজ থাকা মানসিক ভাবে অসুস্থ এক বৃদ্ধকে বাড়ি ফিরিয়ে দিলেন হুগলির চন্দননগর পুলিশলাইনে কর্তব্যরত কনস্টেবল সুকুমার উপাধ্যায়। তিনি আদতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি এলাকার কাপিষ্টার বাসিন্দা। সুকুমার জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। ঘটনাটি নজরে আসে তাঁর ভাই তথা বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের। এর পর রবিবার ওই বৃদ্ধকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন সুকুমার। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার ভবঘুরেদের ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন সুকুমার। এই কারণে ২০২১ সালে তাঁকে ‘বছরের বেস্ট’ পুরস্কার দেয় আনন্দবাজার অনলাইন।

সুকুমার জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগণার নোদাখালি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলে অশ্বিনী তাঁর ঠিকানা জানতে পারেন। পরে, অশ্বিনী গোটা ঘটনার কথা বলেন দাদাকে। এর পর, সমাজমাধ্যমে ওই বৃদ্ধের ছবি দিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের সন্ধান শুরু হয়। পাশাপাশি, নোদাখালি থানার পুলিশকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকের সন্ধানে নামেন সুকুমার নিজে।

শেষ পর্যন্ত ওই মিলিয়ে দেয় সমাজ মাধ্যমই। সেখানে সুকুমারের পোস্ট দেখে ওই বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা সুকুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে নোদাখালি থানার সাহায্য নিয়ে ওই বৃদ্ধের পরিবারের লোকজনের খোঁজখবর নেন সুকুমার। সব দিক দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার পর ওই বৃদ্ধকে নিয়ে রবিবার নোদাখালি রওনা দেন সুকুমার। ওই বৃদ্ধের বৌদি বলেন, “মাস সাতেক আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান দেওর। আমরা পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলাম। তবে তাঁর খোঁজ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দেওরকে ফিরে পেয়ে আমরা খুশি।”

সুকুমার বলেন, “ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী হওয়ায় ওই ভবঘুরে ব্যক্তি তাঁর নজরে আসে। কথা বলে জানা যায়, তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। নোদাখালি থানার মাধ্যমে পরিবারের দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police Police Staff bankura Missing Person
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE