Advertisement
১৯ মে ২০২৪

মাধ্যমিক-ভীতি কাটাতে স্কুলে শিবির পুলিশের

দিন কয়েক আগে নলহাটিতে মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের হাতে গোলাপ তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল পুলিশ। এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ বাড়াতে, সাহস দিতে খয়রাশোলের স্কুলে ‘ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প’ করল পুলিশ।

চলছে শিবির। নিজস্ব চিত্র।

চলছে শিবির। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খয়রাশোল শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৭
Share: Save:

দিন কয়েক আগে নলহাটিতে মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের হাতে গোলাপ তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল পুলিশ। এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ বাড়াতে, সাহস দিতে খয়রাশোলের স্কুলে ‘ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প’ করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার খয়রাশোলের পাঁচড়া উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত ওই ক্যাম্পে উপস্থিত হয়েছিল ওই স্কুল এবং পাশের বসন্তকুমারী গার্লসের শ’দুয়েক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলছেন, ‘‘জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেবে ওরা। এখন ওদের পাশে থেকে সাহস ও উৎসাহ দেওয়া উচিত। যাতে পজিটিভ চিন্তা নিয়ে পরীক্ষা হলে পৌঁছতে পারে।’’

‘জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা তো কী হয়েছে। একেবারে ভয় পাবে না। ভাল করে প্রতিটি প্রশ্ন পড়ে তবেই উত্তর লিখো। প্রশ্নপত্র ছেড়ে এসো না। প্রশ্নের আংশিক উত্তর দিলেও নম্বর মিলবে’— পরীক্ষার্থীরা এমন নানা মূল্যবান পরামর্শ পেল প্রতিটি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে।

সঙ্গে মিলল পুলিশকাকুদের দেওয়া বোর্ড, পেন্সিল, রাবার, পেন ও মিস্টির প্যাকেট। দাঁড়িয়ে থেকে সব দিক দেখাশোনা করলেন খয়রাশোলের ওসি মাধব মণ্ডল এবং অন্য পুলিশ কর্মীরা। ওসি জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশেই এমন উদ্যোগ।

পুলিশ সূত্রের খবর, জেলার অন্য থানা এলাকাতেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জনসংযোগ বাড়ানো এবং পুলিশ সম্পর্কে ভীতি কাটাতেই এমন ভাবনা, জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা।

পাঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরূপ ভট্টাচার্য জানান, এই স্কুল থেকে এ বার ৯১ জন ছাত্র মাধ্যমিক দেবে। পাশের বসন্তকুমারী গার্লস থেকে পরীক্ষা দেবে ১০৮ জন ছাত্রী। অ্যাডমিট কার্ড বিলির দিনেই খয়রাশোল থানা স্কুলে একটি ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্প করার কথা জানায়। আর আপত্তি করেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে পাশের স্কুলকে খবর দিই। পাশাপাশি দুটি স্কুলে বিষয়ভিত্তিক যে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক তথা এগ্জামিনাররা রয়েছেন, তাঁদের এ দিন আসতে অনুরোধ করি। সকলে এসেছেন। এক জন বাদে সব পরীক্ষার্থী হাজির ছিল।’’ শিক্ষিকা সোমা গিরি, গোপালি রায়, কৃপাসিন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলছেন, ‘‘এখন প্রস্তুতি শেষ দিকে হলেও কোথাও একটা ভয় থাকে। পুলিশের উদ্যোগে সেই ভয় কাটানোর চেষ্টা করা হল। এটা ওদের কাজে লাগবে।’’

যাদের জন্য এমন আয়োজন, উচ্ছ্বসিত তারা। উমা মুখোপাধ্যায়, অর্পিতা গোস্বামী, দিবাকর ঘোষ, নয়ন ঘোষেরা বলছে, ‘‘শেষবেলায় এমন পিঠ-চাপড়ানি এবং শিক্ষকদের পরামর্শ খুব প্রয়োজন ছিল।’’ পুলিশ কাকুদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেনি এ বারের এই পরীক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আচরণ বিধি-সহ পরীক্ষার উত্তরপত্র কীভাবে লিখতে হবে সে ব্যাপারে রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলিত হলেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে একশ জন পরীক্ষার্থীদের হাতে ক্লিপ বোর্ড ও পেন দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madhyamik exam Students panic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE