Advertisement
০৯ মে ২০২৪

টিঁকে থাকতে আন্দোলনেই ফিরতে চায় ফরওয়ার্ড ব্লক

ভাঙতে ভাঙতে সংগঠনের অস্তিত্বই প্রায় সঙ্কটে। সদস্য সংখ্যাও অনেক কমেছে। এই আবহে বিরোধী রাজনীতির মুখ হিসেবে উঠে আসতে আন্দোলনের রাস্তায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিল ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের সদ্য সমাপ্ত জেলা সম্পাদকমণ্ডলী ও জেলা কমিটির বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৪
Share: Save:

ভাঙতে ভাঙতে সংগঠনের অস্তিত্বই প্রায় সঙ্কটে। সদস্য সংখ্যাও অনেক কমেছে। এই আবহে বিরোধী রাজনীতির মুখ হিসেবে উঠে আসতে আন্দোলনের রাস্তায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিল ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের সদ্য সমাপ্ত জেলা সম্পাদকমণ্ডলী ও জেলা কমিটির বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতৃত্ব।

ফরওয়ার্ড ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সক্রিয় সদস্য ও সহযোগী সদস্য— এই দুই স্তরে এখনও দলের সঙ্গে কত জন যুক্ত, তা জানতে সদস্যদের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করানোর কাজ কয়েক মাস আগে শুরু করেছিল দল। সেই কাজ শেষ হতে দেখা যাচ্ছে দলের দুই স্তরেই কর্মী সংখ্যা কমেছে। তবে সহযোগী সদস্যের তুলনায় সক্রিয় সদস্য কমার হার কম হওয়ায় নতুন করে অন্দোলনে ফেরার রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন নেতৃত্ব। তাতে হারানো জমি কিছুট হলেও ফিরে পাওয়া যাবে বলে আশা তাঁদের।

রাজ্যে পালাবদলের বছর দু’য়েক পরে দলের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করা হয়েছিল। তখন দলের সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ছিল ১৪২১ জন। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষে পুনর্নবীকরণের পরে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০৭। সহযোগী সদস্যের সংখ্যা ছিল ১৭৭৩। সেটা দাঁড়িয়েছে ১১১৬ জনে। জেলায় বাঘমুণ্ডি ফরওয়ার্ড ব্লকের এক সময়ের গড় হিসেবেই পরিচিত। এই ব্লকে সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ছিল ২০৯ জন। তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭৪।

সহযোগী সদস্যের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলেও সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা কমার হার দেখে নেতৃত্ব মনে করছে আন্দোলনের রাস্তায় গিয়েই ফের দলকে চাঙ্গা করা যাবে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিশিকান্ত মেহেতা বলেন, ‘‘আমাদের সহযোগী সদস্য সাড়ে ছ’শোর বেশি কমলেও সক্রিয় সদস্য কমেছে তিনশোর কিছু বেশি। রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় নেই প্রায় ছয় বছর। তবু আমাদের সদস্যেরা পুনর্নবীকরণ করিয়েছেন। তাতে আমরা নতুন করে আশার আলো দেখছি।’’

ফব সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ব্লকে ব্লকে কনভেনশন করা হবে। তারপরে প্রতি ব্লকে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তারপরে জেলাস্তরের কনভেনশন। শেষে জেলাস্তরে কী ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। একই সঙ্গে প্রয়াত নেতা অশোক ঘোষের ভাবাবেগকেও কাজে লাগাতে চায় দল। নিশিকান্তবাবু জানান, ৩ মার্চ অশোকদার মৃত্যু দিন। রাজ্যস্তরের মৃত্যুদিবস পালনের অনুষ্ঠান বাঘমুণ্ডির সুইসাতেই হবে। কেননা, অশোকবাবুর ইচ্ছে অনুসারে সুইসা নেতাজি সুভাষ আশ্রমেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Forward Bloc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE