গর্তে ভরা সাঁইথিয়া নতুন সেতু। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। —নিজস্ব চিত্র
পথে যেতে যেতে আচমকা বিপত্তি। সেতুর খন্দে পড়ে বিকল হয়ে গেল আসানসোলগামী একটি দূরপাল্লার বাস। আর তার জেরে তৈরি হল যানজট। প্রায় চার বছর ধরে ভোগান্তির এমন ছবিটাই দস্তুর ময়ূরাক্ষীর উপরে সাঁইথিয়ার নতুন সেতুর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বারবার দরবার করেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
বাসিন্দারা জানান, সাঁইথিয়া-বহরমুপর রাস্তার উপরে থাকা খন্দে ভরা এই সেতুর সংযোগস্থলগুলিতে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মাস আটেক আগে পূর্ত দফতরের তরফে গর্তগুলি অস্থায়ী ভাবে ভরাট করা হলেও ভারী গাড়ি চালচলের জন্য বর্তমানে তা ফের বেহাল। অথচ ছ’য়ের দশকে তৈরি হওয়া এই সেতুটি দিয়েই ফি দিন বহরমপুর, রামপুরহাট, তারাপীঠ, সিউড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর, দুমকা-সহ বহু রুটের বাস, ট্রাক, বালি-পাথরবোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে। এ ছাড়াও ছোট গাড়ি, মোটরবাইকের চলাচল তো রয়েইছে। এক ট্রাক চালক বলেন, ‘‘মাঝেসাঝেই গাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যে কোনও সময়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই বর্ষার পরে সেতু সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। স্থানীয় ব্যবসায়ী সুবোধ ঘটক, বিবেকানন্দ হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তপন চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের ক্ষোভ, ‘‘সেতুর এমন হাল, হেঁটে যেতেও ভয় লাগে।’’ বিভিন্ন গাড়ির চালক বিপু সিংহ, গৌড় রায়দের কথায়, ‘‘সেতুর অবস্থা ভয়াবহ। বর্ষায় ভরা নদী। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?’’ পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরোজকুমার সিংহের যদিও দাবি, ‘‘সেতু সংস্কারের জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy