Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

গেট থেকে স্ট্রেচারেই

মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে যাতায়াতের রাস্তা দু’টি। একটি উত্তর, অন্যটি দক্ষিণ দিকে। কয়েক মাস আগে, উত্তর দিকের ঢোকার রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়। একটু ফাঁক রয়েছে। সেখান দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করা যায়। বড়জোর মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

গেট থেকে স্ট্রেচারেই চলে যাতায়াত

গেট থেকে স্ট্রেচারেই চলে যাতায়াত

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭ ১২:৩০
Share: Save:

গ্রামীণ হাসপাতালে ঢুকতে পারছে না অ্যাম্বুল্যান্স।

দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে ঢোকার মুখে নিকাশি নালার উপরে লোহার কাঠামো বিছানো রয়েছে। তার উপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক মাস আগে কাঠামোর একাংশ বসে গিয়েছিল। তার পরেও মেরামতিতে কেউ গা করেননি বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে রোগী নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরনোর পথে ওই অংশটি পার হতে গিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আটকে যায়। কোনও রকমে সেটি উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু ওই ঘটনার পরে গ্রামীণ হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে যাতায়াতের রাস্তা দু’টি। একটি উত্তর, অন্যটি দক্ষিণ দিকে। কয়েক মাস আগে, উত্তর দিকের ঢোকার রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়। একটু ফাঁক রয়েছে। সেখান দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করা যায়। বড়জোর মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই সময়ে জানিয়েছিল, ওই পথ ফাঁকা পেয়ে বাইরের গাড়িও হাসপাতালে পার্ক করে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালের দক্ষিণ দিক দিয়ে ঢোকার রাস্তাও সংকীর্ণ বলে। ব্যবসায়ীরা রাস্তার অনেকটাই দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে, গাড়ি নিয়ে ঢোকার এক মাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।

বিএমওএইচ (মানবাজার) কালীপদ সোরেন বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগে থেকেই লোহার কাঠামোর ডান দিকটা বাঁকতে শুরু করেছিল। অ্যাম্বুল্যান্সগুলি ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছিল। এ নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে নালা ও তার উপরে লোহার কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। সেই ঢাকনা তৈরির কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে যায়। সেটি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত সংকটাপন্ন রোগীদের মূল ফটক থেকে ট্রলি করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বিএমওএইচ। তিনি জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক (মানবাজার) সঞ্জয় পাল। মানবাজার সদ্য মহকুমা হওয়ায় আধিকারিকদের বসবাসের জন্য এখনও ভবন নির্মাণ হয়নি। হাসপাতাল চত্বরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল মণি ও এসডিপিও আফজল আবরার থাকেন। মৃদুল মণি বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে সোমবার গাড়ি নিয়ে বেরোতে পারিনি। এর আগে যাতায়াতের সময়ে বেঁকে যাওয়া অংশ দেখেছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছিল।’’

বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ওই ফুটব্রিজের তলায় কোনও স্থায়ী কাঠামো ছিল না। নালার উপরে দু’টি লোহার কাঠামো রয়েছে। ডান দিকের অংশটি বসে গিয়েছে। এ দিন বিকেলেই সেটি খুলে মেরামত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরে বাঁ দিকের অংশটিও বদলে ফেলা হবে। নালার উপরে একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE