পরীক্ষাকেন্দ্রের ভুলে উল্টে গেল প্রশ্নপত্র। পুরনো নম্বর বিভাজন পদ্ধতির প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিল নতুন পরীক্ষার্থীরা। পুরনো পরীক্ষার্থীরা পেল নতুন প্রশ্ন পত্র। সোমবার বেলিয়াতোড় হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিকের কৃষিবি়জ্ঞান পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটে।
বেলিয়াতোড় হাইস্কুলে বড়জোড়া হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের আসন পড়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকেই কৃষিবিজ্ঞানের পরীক্ষা নতুন নম্বর বিভাজনের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে। আগে ৮০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও ৪০ নম্বরের বর্ণনামূলক প্রশ্ন থাকত। নতুন বিভাজনে পরীক্ষা নেওয়া হয় ৭০ নম্বরের। ৩৫ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও ৩৫ নম্বরের বর্ণনামূলক প্রশ্ন থাকে।
সোমবারের পরীক্ষায় ওই কেন্দ্রের একটি ঘরে দশ জনের আসন পড়েছিল। তাদের মধ্যে আট জন নতুন পরীক্ষার্থী। দু’জন ২০১৫ সালে অকৃতকার্য হওয়া পড়ুয়া। তাদের ৮০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুল করে ওই দু’জন পরীক্ষার্থীকে ৭০ নম্বরের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। আট জন নতুন পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ৮০ নম্বরের প্রশ্নপত্র। আর দশ জনই হাতে পাওয়া প্রশ্নের উত্তর লিখে আসে।
কিন্তু পরীক্ষার পরে অন্য ঘরের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাদের খটকা লাগে। বিষয়টি বুঝতে পারার পরে ওই পড়ুয়ারা পরীক্ষাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বড়জোড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় খবর পেয়ে বেলিয়াতোড় হাইস্কুলে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বেলিয়াতোড় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শিশির মণ্ডল বিষয়টি রাজ্য উচ্চশিক্ষা পর্ষদে ই-মেল করে জানান।
তবে এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই আশ্বাস্ত করেছেন বাঁকুড়ার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পঙ্কজ সরকার। তিনি বলেন, “নম্বর বিভাজন আলাদা হলেও সিলেবাস এক। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে কোনও অসুবিধা হয়নি। পর্ষদকে আমরা গোটা বিষয়টা জানিয়েছি। এতে পরীক্ষার্থীদের কোনও ক্ষতি হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy