ক্যাম্পাসে অশান্তির জেরে বিভাগীয় প্রধানকে পদ থেকে অস্থায়ী ভাবে সরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্বভারতী। সেই তদন্ত কমিটি প্রত্যাহার করা এবং বিভাগীয় প্রধান পদ্মিনী বলরামকে পদে পুনর্বহালের দাবিতে সরব হল অধ্যাপকদের একটি সংগঠন। ‘বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন’ (ভিবিউফা) এই দাবিতে শুক্রবার দুপুরে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরে অবস্থান বিক্ষোভ করে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্তের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপোষণ, গোপনের অভিযোগও এনেছেন তাঁরা। ওই কর্মসূচির সময়ে দফতরে ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।
স্নাতকোত্তর-সহ গবেষণার পাঠ্যক্রম চালু, স্কুল সার্ভিস কমিশনে পাঠ্যক্রমকে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয় শিল্পসদনের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। কর্তৃপক্ষের অনমনীয় মনোভাব এবং সমস্যা সমাধানে অনীহার অভিযোগ তুলে পড়ুয়ারা বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস বয়কট, ঘেরাও, অবস্থানও করেছে। বার কয়েক আলোচনায় বসেও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপরেই বিভাগীয় প্রধান পদ্মিনীদেবীকে পদ থেকে সরিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী।
সংগঠনের পক্ষে সভাপতি প্রণবকান্তি বসুর অভিযোগ, ‘‘নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে একাধিক কমিটি ও উপকমিটি গঠন করেছেন স্বপনবাবু। তথ্য গোপন, স্বজনপোষণের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।’’ সংগঠনের সম্পাদক বিকাশচন্দ্র গুপ্ত জানান, তার প্রতিবাদেই এ দিনের কর্মসূচি। এ দিকে, আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য বিভিন্ন ভবনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। আজ, শনিবার থেকে স্নাতকস্তরের ভর্তি শুরু হচ্ছে। এই সময়ে বিক্ষোভ, অবস্থানকে ভাল চোখে দেখেননি অনেকেই। অস্থায়ী উপাচার্যও বিষয়টিকে অনৈতিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। স্বপনবাবুর কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সময়ে এমন কর্মসূচি নিয়ে ওনারা কী বার্তা দিতে চাইছেন!’’ আর ভিবিউফার অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর জবাব, ‘‘যা যা করা হয়েছে বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটি কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত মেনে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy