Advertisement
E-Paper

চিকিৎসা-সঙ্কটে রঘুনাথপুর সংশোধনাগার

সংশোধন করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য অপরাধীদের সেখানে রাখা হয়। রঘুনাথপুর উপ-সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের এখন চিন্তার বিষয় চারিত্রিক ও মানসিক সংশোধন হওয়ার সময়ে যদি কোনও বন্দির শারীরিক কোনও গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়, তা সামাল দেওয়া যাবে কী করে!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৬

সংশোধন করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য অপরাধীদের সেখানে রাখা হয়। রঘুনাথপুর উপ-সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের এখন চিন্তার বিষয় চারিত্রিক ও মানসিক সংশোধন হওয়ার সময়ে যদি কোনও বন্দির শারীরিক কোনও গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়, তা সামাল দেওয়া যাবে কী করে! মহকুমার এই উপ-সংশোধনাগারে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত নেই। প্রথম থেকেই পদ শূন্য পড়ে রয়েছে সংশোধনাগারের চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টের। কোনও বিচারাধীন বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স নেই। কন্ট্রোলার অভিজিৎ বিশ্বাস জানান, আপাতত রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক সপ্তাহে এক দিন এসে বন্দিদের শারীরিক পরীক্ষা করে যান। কিন্তু ফার্মাসিস্ট না থাকায় তাঁর পরামর্শ মতো ওষুধ দিতে সমস্যায় পড়তে হয়।

পাঁচ বছর আগে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের অদূরে এই সংশোধনাগারের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। বর্তমানে সেখানে ৩৫জন বন্দি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত এক জন। অন্য ক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যা না থাকলেও চিকিৎসা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী সেখানে এক জন পূর্ণ সময়ের চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট থাকার কথা। অ্যাম্বুল্যান্সও দরকার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই নেই। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে প্রয়োজন পড়লে কর্মীদের ফার্মাসিস্টের কাজ করতে হচ্ছে।

আদালত কোনও অপরাধীকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে ঢোকার আগে সেই ব্যক্তির শারীরিক পরীক্ষা করাতে হয়। সেই কাজটাও এখন মুলতুবি থাকে ওই উপ-সংশোধনাগারে। সংশোধনাগারের কন্ট্রোলার অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অভাবে কোনও বন্দি সংশোধনাগারে আসার আগে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না।” এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়েই ব্যক্তিদের সংশোধনাগারে রাখতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন বন্দিদের যে শারীরিক পরীক্ষা করানোর কথা, সেটাও হচ্ছে সপ্তাহে এক দিন।

সংশোধনাগার সূত্রের খবর, শুরুর সময়ে এক জন চিকিৎসককে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কাজে যোগ দেননি। ফার্মাসিস্টের বিষয়টিও এক। সম্প্রতি সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। তাঁকে সমস্যার কথা জানিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এলাকার বিধায়ক বলেন, ‘‘উপৃসংশোধনাগরে চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে কথা বলব।” এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে সংশোধনাগারে একটি অ্যামুল্যান্স দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Doctors Jail
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy