Advertisement
E-Paper

ফের দেরি, অবরোধ লাইনে

তিন দিনে দু’বার। ট্রেন লেট করার প্রতিবাদে ফের রামপুরহাট স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে নেমে রেল অবরোধে নেমে পড়লেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। তাঁদের ক্ষোভ, ওই লাইনে দেরিতে ট্রেন চলা কার্যত নিয়মে পরিণত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৭
অবরোধ নিত্যাযাত্রীদের। শুক্রবার সকালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

অবরোধ নিত্যাযাত্রীদের। শুক্রবার সকালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

তিন দিনে দু’বার।

ট্রেন লেট করার প্রতিবাদে ফের রামপুরহাট স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে নেমে রেল অবরোধে নেমে পড়লেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। তাঁদের ক্ষোভ, ওই লাইনে দেরিতে ট্রেন চলা কার্যত নিয়মে পরিণত হয়েছে। তার জেরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। ঘণ্টাখানেক চলার পরে রেল আধিকারিকদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

একই অভিযোগে গত বুধবারও রামপুরহাট স্টেশনে হয়েছিল। অবরোধ করে ডাউন কবিগুরু এক্সপ্রেস এবং তারাপীঠ রোড স্টেশনে আপ বর্ধমান-বড়হরবা প্যাসেঞ্জার ও ডাউন সাহেবগঞ্জ–বর্ধমান প্যাসেঞ্জার আটকে দেন নিত্যযাত্রীরা। সে দিন অবশ্য মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে তাড়াতাড়ি অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু, তার পরেও ট্রেন লেটের ছবিটা এতটুকুও না বদলানোয় ফের তাঁরা অবরোধ করতে বাধ্য হন বলে দাবি এ দিনের ওই আন্দোলনকারীদের। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ইলেকট্রিক লাইন চালু হয়েছে। ঠিক সে দিন থেকেই দেরিতে ট্রেন চলাচল রোজকার ঘটনা হয়ে পড়েছে। এর ফলে নিত্যযাত্রীরা তাঁদের অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, ব্যবসার জায়গায় সময় মতো পৌঁছতে পারছেন না। কাজের জায়গায় অনেককে দেরিতে আসায় অপমানিতও হতে হচ্ছে। এমনকী, জরুরি কাজে দেরি হয়ে যাচ্ছে।

এ দিন সকালে আপ বর্ধমান-বড়হরবা প্যাসেঞ্জার নির্দিষ্ট সময়ের (সকাল ৯টা ১০ মিনিট) পরিবর্তে প্রায় ৫০ মিনিট দেরি করে সকাল ১০টা নাগাদ রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছয়। তার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। প্রথমেই তাঁরা লাইনের উপর দাঁড়িয়ে ট্রেনটির ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বদল করতে বাধা দেন। পরে স্টেশনে ঢুকলে একে একে গণদেবতা এক্সপ্রেস এবং ডাউনে কলকাতা–বালুরঘাট এক্সপ্রেসকে আটকে অবরোধ শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘ইলেকট্রিকেই চলুক বা ডিজেলে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চালাতে হবে রেলকে।’’ ওই দাবিতে নিত্যযাত্রীরা স্টেশন মাস্টার, এরিয়া ম্যানেজার এবং রেল পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।

কেন বারবার এমন ঘটছে? স্টেশন মাস্টার পুষ্কর কুমারের বক্তব্য, ‘‘বর্ধমান থেকে পাকুড় পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন চালিত নতুন ট্র্যাক তৈরির কাজ চলছে। এর জন্য অনেক জায়গায় ট্রেন ধীর গতিতে চলছে। এ ছাড়াও ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বদল করার জন্যও রামপুরহাট স্টেশনে দু’টি লাইন ব্লক থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে লাইন পেতে অনেক সময় ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়।’’ তাঁর আশ্বাস, আগামী দিনে রামপুরহাটে আরও দু’টি লাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আর কোনও অসুবিধা থাকবে না। তবু রেলের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলাচল করার চেষ্টা চালানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

Rail blockade
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy