শান্তিনিকেতনে খ্রিস্টোৎসব। —নিজস্ব চিত্র
দূষণের দায়ে যে মেলাকে নিষিদ্ধ করেছে পরিবেশ আদালত, সেই ‘ভাঙা মেলা’র হয়েই সওয়াল করল শাসকদল তৃণমূল।
রবিবার পৌষমেলার শেষ দিন এলাকায় দলের বোলপুর শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর কোনারের পক্ষে একটি লিফলেট বিলি করেছে তৃণমূল। সেই লিফলেটে পৌষমেলা নিয়ে পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে ‘স্বাগত’ জানানো হয়েছে। আবার একই সঙ্গে ‘ভাঙা মেলা সুপ্রাচীন সময় থেকে চলে আসছে’ এবং এই ভাঙা মেলাতেই ‘বীরভূমের আদিবাসী ও গরিব মানুষেরা’ সুলভ মূল্যে জিনিসপত্র কেনার সুযোগ পান বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও বেআইনি ‘ভাঙা মেলা’ নয়, নির্ধারিত তিন দিনের পৌষমেলাকেই শান্তিনিকেতনের প্রাচীন ঐতিহ্য বলে জানিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে যাবতীয় পরিবেশ বিধি মেনে গ্রামীণ শিল্পীদের অগ্রাধিকার নিয়ে পৌষমেলার সেই প্রাচীন ঐতিহ্যকেই ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিল।
যে মেলাকে খোদ পরিবেশ আদালত নিষিদ্ধ করে দিয়েছে, তার হয়ে সওয়াল করা কেন? সরাসরি জবাব না দিলেও এ দিন ওই মেলা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য। অনুব্রত এ দিন বলেন, ‘‘নোট বাতিল আর ক্যাশলেস ব্যবস্থার জেরে এ বারের পৌষমেলায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আমরা মেলা উদ্যোক্তা এবং সংশ্লিষ্ট সব স্তরের কাছে আবেদন রাখছি, পরিবেশের বিধি মেনে যেন ‘ভাঙা মেলা’ চালতে দেওয়া হয়। যাতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না হয়।’’
যদিও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, তিন দিনের বেশি পৌষমেলা হবে না। পুলিশ-প্রশাসনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আগের মতোই মেলা চললে এ বার কী পদক্ষেপ করা হবে?
জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীর বক্তব্য, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করছি।’’ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষে কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং অনিল কোনার বলেন, ‘‘এমন আবেদন কারও কাছ থেকে পাইনি। আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ হবে।’’ অন্য দিকে, পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য এই আবেদন। এর কোনও মানে হয় না। আবেদন করলে অনেক আগে আদালতেই করতে হতো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy