Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Coronavirus

যক্ষ্মার পরীক্ষার সঙ্গেই নমুনা সংগ্রহ করোনার

স্বাস্থ্য দফতর মনে করাচ্ছে, সপ্তাহ দুই আগে দুবরাজপুরের এক যক্ষ্মা আক্রান্ত যুবক শ্বাসকষ্ট নিয়ে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৫:৩৫
Share: Save:

যক্ষ্মা রোগীদের উপসর্গের সঙ্গে অনেক সময়ই মিল পাওয়া যায় করোনা আক্রান্তদের উপসর্গের। সেই যক্ষ্মা রোগীদের কেউ করোনা সংক্রমণের শিকার কি না জানতে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, যক্ষ্ম রোগ নির্ণায়ক সিবি-ন্যাট নামক পরীক্ষা করাতে স্পুটাম বা কফের নমুনা দিতে ব্লক হাসপাতালে এলে সেখানেই ওই রোগীর লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘যক্ষ্মা রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। তাঁর সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। মোবাইল টিবি ডায়াগনস্টিক ভ্যান বা এমটিডিভি এখন ব্লক হাসপাতাল গুলিতে যাচ্ছে। এতে যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত হচ্ছে বেশি। তাঁদের করোনা পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়ার ভাবনা নেওয়া হয়েছে সতর্কতা হিসেবেই।’’

স্বাস্থ্য দফতর মনে করাচ্ছে, সপ্তাহ দুই আগে দুবরাজপুরের এক যক্ষ্মা আক্রান্ত যুবক শ্বাসকষ্ট নিয়ে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দিনদিনের মাথায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। রিপোর্টে সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। ওই যুবক বাইরে থেকে আসেননি বা বাইরে প্রচুর ঘোরাঘুরি করেছেন, এমন তথ্যও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ছিল না। তাঁর করোনা ধরা পড়তেই বাকিদের করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার ভাবনা নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, যক্ষ্মা রোগের জীবাণু সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে। এক আক্রান্ত থেকে আরেক আক্রান্তের শরীরে ছড়ায় তাঁর হাঁচি, কাশি ও লালারস বা ড্রপলেট ইনফেকশনের মাধ্যমে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বদলে সংশোধিত জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি চালু থাকলেও যে হারে রোগ ছড়াচ্ছে তা উদ্বেগজনক। বীরভূমে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারেরও বেশি। যক্ষ্মা নির্নায়ক তিনটি পরীক্ষার মধ্যে দু’টি হল কফ বা স্পুটাম সিমার মাইক্রোস্কপি ও বুকের এক্স-রে করানোর ব্যবস্থা। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা কম হলে বা যক্ষ্মা নিশ্চিত করতে হলে সেটা সিবিন্যাট পরীক্ষা প্রয়োজন। সিউড়ি ও বোলপুর দু’টি হাসপাতালে সিবিন্যাট যন্ত্রের মাধ্যমে কফের নমুনা পরীক্ষা হয় মাসে প্রায় ৫০০জনের। সিউড়ি বা বোলপুর হাসপতালে যাঁরা কফের নমুনা দিতে আসছেন তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। এ বার ব্লক হাসপাতাল থেকেও একই ভাবে তা সংগ্রহ করা শুরু হল। বুধবারই খয়রাশোলে তেমন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus TB
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE