Advertisement
E-Paper

দখলমুক্তিতে স্থগিতাদেশ

রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের দখল করা অংশ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর না হলে প্রশাসন থেকে দখল উচ্ছেদ করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২০

রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের দখল করা অংশ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর না হলে প্রশাসন থেকে দখল উচ্ছেদ করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। মানবাজার ১ ব্লক প্রশাসনের এমন নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করল।

কয়েকজন ব্যবসায়ী বিডিও-র ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের পক্ষের আইনজীবী সৌগত মিত্র বলেন, ‘‘মানবাজার থানার মানবাজার চক থেকে ঝরকাবাড়ি অবধি রাস্তার দখলি অংশ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল মানবাজার ১ ব্লক প্রশাসন। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল সৌমেন পাল, সুজয় কুণ্ডু এবং মিঠু কুণ্ডু রিট পিটিশন দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ওই নির্দেশের উপর ছ’সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এ ছাড়া এক থেকে দু সপ্তাহের মধ্যে ব্লক প্রশাসনকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।’’

সম্প্রতি মানবাজার থানার মানবাজার চক থেকে দোলাডাঙা পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছিল। নির্মাণকারী সংস্থা কাজ করতে গিয়ে রাস্তার প্রয়োজনীয় মাপ না পাওয়ায় নালিশ জানিয়েছিলেন। নির্মাণকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, মানবাজার চক থেকে ঝরকাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সব থেকে বেশি ব্যক্তিগত দখলে রয়েছে। জেরে নির্মাণের কাজ মন্থর হয়ে পড়ছে। মানবাজার ব্লক প্রশাসনের উদ্দ্যোগে রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে সর্বদল বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা রাস্তা নির্মাণে দখলীকৃত অংশ সরিয়ে ফেলতে সরকারি উদ্যোগকে সমর্থন জানান। এরপরে দখলীকৃত অংশ সরিয়ে ফেলতে রাস্তার মাপ চিহ্নিতকরণ, নোটিস দেওয়া শুরু হয়।

ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের দখল সরিয়ে নিতে আজ শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। ওই দিনের মধ্যে নিজেরা না সরালে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে ফেলা হবে এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি এই দু’দিনের মধ্যে চক থেকে ঝরকাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হয়ে যাবে বলে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছিল। স্থগিতাদেশের জেরে রাস্তা নির্মানের কাজ পিছিয়ে গেল।

মানবাজার (১) এর বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস এ দিন বিকেলে বলেন, ‘‘কয়েকজন বাসিন্দা স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন বলে শুনেছি। এখনও নথি পাইনি। আদালতের নির্দেশ পেলে সেই অনুসারে কাজ হবে।’’

রিট পিটিশনের অন্যতম আবেদনকারী সুজয় কুণ্ডুর দাবি, রায়তি জায়গার উপর আমাদের দোকান রয়েছে। তা সত্ত্বেও দখলমুক্ত করার নোটিস পেয়েছিলাম। ওই নোটিসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলাম। ব্লক প্রশাসনের নির্দেশের বিরুদ্ধে ছ’সপ্তাহের স্থগিতাদেশ মিলেছে বলে আমাদের আইনজীবী জানিয়েছেন। আশা করছি এর পরে স্থায়ী স্থগিতাদেশও পেয়ে যাব।’’

Suspension Land Roadside
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy