ঝালদা পুরসভার পরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের আঁচ পড়ল এ বার ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতিতেও। পুরভবন মাঝে মধ্যেই তপ্ত হয় প্রাক্তন পুরপ্রধান ও বর্তমান পুরপ্রধানের বিবাদে। এ বার ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতি সরগরম সভাপতি বনাম সহ-সভাপতির ‘লড়াইয়ে’।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পাশ থেকে সদস্যদের অনেকে সরে যাওয়ায় তিনি সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন বলে দাবি সহ-সভাপতির। তাঁর অভিযোগ, সে জন্য সভাপতি সাধারণ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের গৃহীত সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করছেন না। এতে ওই এলাকার উন্নয়নও থমকে গিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের কাছে সহ-সভাপতির স্বাক্ষরকে মান্যতা দেওয়ার আর্জি জানান সহ-সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সদস্যেরা। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে, শেষে তাঁরা ২২ জন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও সভাপতি তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মানতে চাননি।
জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘আমাকে সামনাসামনি ওই পঞ্চায়েত সমিতির ব্যাপারে কেউ কিছু জানাননি। দফতরে কেউ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন কি না জানা নেই।’’ তিনি জানান, সভাপতির উপস্থিতিতে সহ-সভাপতি আলাদা ভাবে কাজ চালাতে পারেন না। রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোও বলেন, ‘‘কেউ ইচ্ছা করলেই পঞ্চায়েত সমিতি চালাতে পারেন না। বিধি মেনে কাজ হয়। দলগত ভাবে সমস্যাটি দেখা হচ্ছে।’’