দলবদল করা ভাগবত মুড়া (নীল জামা)। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বাঘমুণ্ডি পঞ্চায়েতের এক সদস্য। শুধু তৃণমূল ছাড়াই নয়, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে তিনি উপপ্রধান নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন বলে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি।
বাঘমুণ্ডি ব্লকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করেছে বিরোধীরা। তার মধ্যে বাঘমুণ্ডি পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮, তৃণমূল ৫ ও কংগ্রেস ২টি আসন পেয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের পদটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে তফসিলি জাতির কোনও প্রতিনিধি না থাকায় তারা প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। তবে, উপপ্রধান পদে তৃণমূল প্রার্থী দেয়। তিনি বিজেপির প্রার্থীর কাছে ১১-৪ ভোটে পরাজিত হন। হিসেব মোতাবেক বিজেপির ৮ ও সহযোগী কংগ্রেসের ২ সদস্য মিলিয়ে বিজেপির প্রার্থীর ১০টি ভোট পাওয়ার কথা ছিল। এরপরেই বিজেপি দাবি করে, তৃণমূলের এক জন তাঁদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
বাঘমুণ্ডির বাসিন্দা বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য জগদীশ কুমার দাবি করেন, ‘‘তৃণমূলের সদস্য ভাগবত মুড়া উপপ্রধান নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন। তিনি আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। পরে আমাদের সঙ্গে বিজয় মিছিলেও হাঁটেন।’’ কেন তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন? ভাগবতের দাবি, ‘‘ভোটারদের ইচ্ছাতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’’
তবে, তৃণমূলের নিচুতলার দাবি, ওই সদস্যের বিজেপিতে যোগদানের পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তৃণমূলের বাঘমুণ্ডি ব্লকের অন্যতম আহ্বায়ক কাশীনাথ মাঝি বলেন, ‘‘ভাগবত যে সংসদ থেকে নির্বাচিত, সেখানকার আমাদের দলেরই শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর এক নেতাকে ঘিরে কর্মীদের অসন্তোষ রয়েছে। সে কারণেই তিনি দলবদল করেছেন। শীঘ্রই এই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করব। ওই সদস্য ভুল বুঝে চলে গিয়েছেন। তাঁকে ফেরত আনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy