সকলের জন্য বাড়ি (হাউস ফর অল) প্রকল্পে যে সমস্ত উপভোক্তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছেন, তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা বরাদ্দের দাবি উঠেছে। এই দাবিতে টানা দু’দিন ধরে ঝালদা পুরসভায় বিক্ষোভ চলে। তাঁদের দাবি, পুরসভায় টাকা এসেছে। এ বার পুরসভাকে উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ করতে হবে। এই দাবিতে ঝালদার পুরপ্রধান মধুসূদন কয়ালকে ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা।
পুরসভা সূত্রে খবর, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ এই প্রকল্প থেকে ঝালদা পুরএলাকায় গৃহহীনদের জন্য মোট ২৫০০ বাড়ি তৈরি করবে পুরসভা। ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের নামের তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মোট বাড়ির ৪০ শতাংশের টাকা পুরসভায় পৌঁছেও গিয়েছে। এই টাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।
কংগ্রেস পরিচালিত এই পুরসভা বর্তমানে ক্ষমতা বদলের মুখে দাঁড়িয়ে। মোট ১২ আসনের পুরবোর্ডের মধ্যে কংগ্রেসের সাত কাউন্সিলর। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে থেকে চার জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে দুই নির্দল ও এক ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলরও তৃণমূলে গিয়েছেন। তাঁরা এরপরে অনাস্থা এনেছেন। তৃণমূলে যাওয়া কাউন্সিলরদের অনেকেরই দাবি, পুরসভার ক্ষমতা যখন বদল হচ্ছে তখন এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা তাঁরা নতুন ভাবে খতিয়ে দেখবেন। এই দাবি তাঁরা পুরসভায় গিয়ে এগ্জিক্উটিভ অফিসারকে জানিয়েও এসেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে পুরভবনে। উপভোক্তাদের দাবি, তাঁরা রাজনীতি বোঝেন না। পুরসভা ওই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপক হিসেবে তাঁদের চিহ্নিত করেছেন। তাই তাঁদের প্রাপ্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। ঝালদা পুরশহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বামাপদ বাগদি, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গঙ্গাধর ধীবর বলেন, ‘‘কেন আমাদের বাড়ি নির্মাণের টাকা এসেও ফেলে রাখা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। টাকা চাই।’’
তবে ঝালদার উপপুরপ্রধান মহেন্দ্রকুমার রুংটার আশ্বাস, ‘‘প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকেরা অবশ্যই তাঁদের টাকা পাবেন। কোন কাউন্সিলর দল বদলাতে পারেন। কিন্তু তার জন্য উন্নয়ন কেন ব্যাহত হবে? সুবিধা প্রাপকদের নামের তালিকা প্রশাসনের কাছে অগ্রিম পাঠানো হয়েছিল। তারপরেই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এখন কেউই এই তালিকা নতুন করে খতিয়ে দেখার নামে অদল বদল করতে পারবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy