Advertisement
০৩ মে ২০২৪

জারি ঘেরাও আর অশান্তি

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০০ দিনের প্রকল্পে অল্পদিনের জন্য কাজ দেওয়ার জেরে পুরুলিয়ায় বিক্ষোভ চলছেই। শুক্রবারও স্কুলে-পঞ্চায়েতে ঘেরাও, তালা দেওয়া থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ পর্যন্ত হল।

বন্ধ: পুরুলিয়া ১ ব্লকের মাঙ্গুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ: পুরুলিয়া ১ ব্লকের মাঙ্গুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া ও মানবাজার শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০২:৩০
Share: Save:

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১০০ দিনের প্রকল্পে অল্পদিনের জন্য কাজ দেওয়ার জেরে পুরুলিয়ায় বিক্ষোভ চলছেই। শুক্রবারও স্কুলে-পঞ্চায়েতে ঘেরাও, তালা দেওয়া থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ পর্যন্ত হল।

এ দিন সকালে অবরোধে আটকে পড়ে জেলাশাসকের বাংলো লাগোয়া পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়ক এবং দুপুরে অবরোধ করা হয় পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জাতীয় সড়ক। অবরোধ হয় পুরুলিয়া ১ ব্লকের চাকলতোড় মোড়েও। পুরুলিয়া ১ ও ঝালদা ২ ব্লকের কয়েকটি প্রাইমারি স্কুলেও তালা ঝোলানো হয়।

বোরো থানার ধরমপুর গ্রামের স্কুলে বিক্ষোভ সামাল দিতে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ননীগোপাল মাঝি কার্যত ঘেরাও হয়ে যান। শুক্রবার সকালে পুঞ্চা থানার পায়রাচালি বাজারে অবরোধ চলায় বাসযাত্রীরা সব থেকে বেশি নাকাল হন। পরে বেলার দিকে অবরোধ উঠে যায়। অবরোধের জেরে পায়রাচালি থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার রাস্তায় বহু বাস, ট্রাক এবং ছোট গাড়ি আটকে পড়ে। গরমে শিশু এবং বৃদ্ধেরা বেশি নাকাল হন।

স্কুলের তিন শিক্ষককে মিড-ডে মিলের রান্নাঘরে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয় ঝালদা ২ ব্লকের মুটুকুড়া প্রাইমারি স্কুলে। সেখানে এ দিন স্কুলের জমিদাতারা ও এলাকার স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সকাল থেকে গরমে রান্নাঘরে আটকে থাকেন তাঁরা। প্রধানশিক্ষক নিরঞ্জন মাহাতো বলেন, ‘‘দীর্ঘক্ষণ গরমের মধ্যে আটকে থেকে বড় ভোগান্তি হল।’’ বিডিও দীপক মুখোপাধ্যায় পুলিশ নিয়ে গিয়ে গিয়ে বেলা দুটোর পরে তালা খুলে তিন শিক্ষককে মুক্ত করেন। এই ব্লকের রাজাডেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও তালা ঝোলানো হয়।

তালা ঝোলে পুরুলিয়া ১ ব্লকের চাকলতোড়ের তিনটি স্কুলে। তারপরে সকাল থেকেই চাকলতোড় মোড় অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষজন। এর জেরে মানবাজার ও বরাবাজারগামী দু’টি রাস্তাই আটকে যায়।

মঙ্গলবার থেকে তালা ঝুলছিল পুরুলিয়া ১ ব্লকের সোনাইজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এ দিন বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস ওই পঞ্চায়েতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দাবি মতো প্রকল্পে কাজ দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখায় বিক্ষোভ থামে। খোলা হয় পঞ্চায়েত ভবন। বিডিও বলেন, ‘‘আপাতত ওই পঞ্চায়েত এলাকায় যাঁদের কাজে লাগানো হয়েছিল, সেই তালিকা স্থগিত রাখা হচ্ছে।’’

জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘কিছু এলাকায় বিক্ষোভ হলেও ওই প্রকল্পে কাজও এগোচ্ছে। এ দিন পর্যন্ত সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৬,০৩২।’’ তিনি জানান, মানুষজনকে বোঝানো হচ্ছে, এটা কোনও চাকরি নয়। আর পাঁচটা একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মতোই এখানে কিছু দিনই কাজ দেওয়া হচ্ছে। এ দিন তিনি পরিস্থিতি জানতে জেলার সমস্ত বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Purulia Unres
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE