Advertisement
০৩ মে ২০২৪

মুচলেকা নিয়ে ট্রাক ছাড়লেন গ্রামবাসী

টানা তিন দিন ধরে গ্রামের মেঠো রাস্তায় সার সার বালি ভর্তি ট্রাক আটকে দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। তাঁরা বালির গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে বেশ কিছু দাবি তুলেছিলেন।

আটক: জয়পুরের কারকবেড়িয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

আটক: জয়পুরের কারকবেড়িয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৯
Share: Save:

টানা তিন দিন ধরে গ্রামের মেঠো রাস্তায় সার সার বালি ভর্তি ট্রাক আটকে দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। তাঁরা বালির গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে বেশ কিছু দাবি তুলেছিলেন। শেষে রবিবার দুপুরে বালি খাদান মালিকদের প্রতিনিধি মুচলেকা দেওয়ার পরে গাড়ি ছাড়া হয়।

শুক্রবার থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বাঁকুড়ার জয়পুর থানার গেলিয়া পঞ্চায়েতের কারকবেড়িয়া, সাধুয়াডাল, লোকপুর বান্না, পরাশিয়া, বেলেখালি গ্রামের বাসিন্দারা ট্রাকগুলি আটকে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে চিওরঞ্জন পাল, গোপাল দে, সুচিত্রা সূত্রধরদের অভিযোগ, ‘‘আগে বালির গাড়ি নিয়ন্ত্রিত ভাবে গ্রামের রাস্তা ধরে যেত। কিন্তু গত মাস দুয়েক ধরে দ্বারকেশ্বর নদের চণ্ডীপুর, বেলেখাই, পরাশিয়া, কলাগ্রামের সাতটি বালিখাদান থেকে দিনরাত শয়ে শয়ে বালি ভর্তি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলছে। অতিরিক্ত বালি বোঝাই ট্রাক আটকে কিছুদিন আগে প্রশাসনের হাতে তুলেও দিয়েছিলাম। সপ্তাহখানেক ট্রাকের দৌরাত্ম্য কম থাকলেও ফের শুরু হয়েছে।’’

বাসিন্দারা জানান, গরম কালেই রাস্তা বর্ষাকালের মতো চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। জয়পুরের বিডিও থেকে প্রশাসনের সব জায়গায় তাঁরা লিখিত আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এই রাস্তা দিয়ে দু’টি হাইস্কুল এবং চারটি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। বেপরোয়া ট্রাকের জন্য তাই অভিভাবকেরা উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন। তাঁদের দাবি, পরাশিয়া থেকে সাঁইতাড়া রাজ্য সড়ক পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তাটি ঢালাই করে দিতে হবে। স্কুলের সময় এবং রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ওই রাস্তায় ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

রবিবার দুপুরে কারকবেড়িয়া গ্রামীণ আটচালায় গ্রামবাসীরা বালি খাদান মালিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। গ্রামবাসী জানান, আটকে থাকা ট্রাক চালকদের তাঁরা রাতের খাবার দিয়েছেন। খারাপ ব্যবহার করেননি। কিন্তু রাস্তা আগে ঠিক করে তারপরে বালি ব্যবসা করতে হবে বলে তাঁরা দাবি তোলেন। বালি খাদান মালিকদের প্রতিনিধি অভিষেক ঘোষ, শুভাশিস রক্ষিত বলেন, ‘‘হেতিয়া পঞ্চায়েতের টোল অফিসে প্রতি গাড়ি পিছু আমরা ১৫০ টাকা করে দিয়ে আসছি। তারপরেও রাস্তা সারানো হচ্ছে না। তবে ধাপে ধাপে আমরা রাস্তা ঢালাই করে দেব বলে লিখে দিয়েছি।’’

জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রবিয়াল মিদ্যা বলেন, ‘‘রাস্তাটি জেলা পরিষদের। আমরা নিয়মিত রাস্তাটি মেরামত করি। সামনের আর্থিক বছরে পরাশিয়া গ্রাম থেকে সাঁইতাড়া মিল মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি আমূল সংস্কার করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Truck Villagers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE