হতাশার মাঝেই জেলার সব ক’টি থানার বাছাই করা সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের নিয়ে একটি বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। বুধবার দুপুরে সিউড়ির পুলিশ লাইনে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন ডিরেক্টর জেনারেল (আইবি) বাণীব্রত বসু এবং আইজি (আইবি) ওমপ্রকাশ গুপ্তও। বৈঠকে উপস্থিত ভলান্টিয়ার্সদের কেউ কেউ দাবি করেন, এ বার থেকে বাছাই করা সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের থানা এলাকায় গোয়েন্দাগিরির কাজে লাগানো হবে। বৈঠকে পুলিশ কর্তারা এমন কথাই জানিয়েছেন। যদিও পুলিশের তরফে এ খবরের কোনও সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “এটা দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিছু বলা যাবে না।” বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বাণীব্রতবাবুও কিছু বলতে চাননি।
পুলিশ সূত্রের খবর, জেলার ১৮টি থানার প্রতিটি থেকে দশ জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার্স বাছাই করে ওই বৈঠকে পাঠাতে বলা হয়েছিল। বৈঠকে হাজির ভলান্টিয়ার্সদের একাংশ জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি থানায় ওই দশ জনকে নিয়ে একটি টিম গঠিত হবে। যে দলের কাজ হবে, এলাকা ভিত্তিক যোগসূ্ত্র বা নেটওায়ার্ক তৈরি করা। যাতে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটতে যাওয়ার আগেই পুলিশের কাছে সে বিষয়ে আগাম খবর থাকে। অবশ্য শুধু অপরাধমূলক ঘটনাই নয়, আইনের চোখে যেটা বেআইনি এমন কোনও খবর এলাকা থেকে পেলে, সে খবরও সত্ত্বর সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাতে হবে দলকে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, “ওই কাজের জন্য পুলিশ কর্তারা প্রত্যককে একটি করে সাইকেল ও মোবাইল ফোন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে খুব তাড়াতাড়িই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও আমাদের দেওয়া হবে।”
এত সব আশ্বাসবাণী পরেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সিভিক ভলান্টিয়ার্সদেরই কেউ কেউ। তাঁদের প্রশ্ন, “আমাদের বেতনের কি হবে? অতিরিক্ত এই কাজের জন্য আমরা কি বাড়তি বেতন পাব? আমাদের স্থায়ী করার বিষয়টিরই বা কি হবে?” বৈঠকে হাজির জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ভাল কাজ করলে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ওই দুই শীর্ষ কর্তা।